খেলাধুলা

আলোই সেরা ৪০০ মিটার হার্ডেলসে

আসলেন, খেললেন, জিতলেন-বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অ্যাথলেট এম আলমগীর হোসেন আলোর কাছে ৪০০ মিটার হার্ডেলসটা এমনই। সেই যে ২০১৩ সালে স্বর্ণ জেতা শুরু, তারপর তো আর কেউ তাকে হারাতে পারছেন না ঘরোয়া প্রতিযোগিতায়।

Advertisement

গত ৫ বছরে অনুষ্ঠিত ৬টি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও ৬টি সামার মিটে তিনিই হেসেছেন বিজয়ের হাসি। শুক্রবার তিনি ঝুলিতে ভরলেন তার ১২ তম স্বর্ণ। ৪১ তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সোহেল রানাকে অনেক পেছনে ফেলে এ ইভেন্টের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছেন খুলনার ফুলতলার দামুদারবরণ পাড়ার ২২ বছরের এ যুবক।

শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার লড়াইয়ে আলো সময় নিয়েছেন ৫৩.৯১ সেকেন্ড। তার পেছনে থেকে রৌপ্য জেতা সোহেল রানার সময় লেগেছে ৫৬.১৯ সেকেন্ড। টাইমিং আরো ভালো করার লক্ষ্যই ছিল তার। কিন্তু ইভেন্ট নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘন্টা পর হওয়ায় একটু ছন্দপতন হয়েছে তার।

স্বর্ণ জয়ের পর আলো বলছিলেন,‘অনুশীলনে আমি আরো কম সময়ে দৌড় শেষ করতাম। ইভেন্ট শুরু হতে বিলম্বে মনসংযোগে বিচ্যুতি হয়েছে। ’

Advertisement

গত এসএ গেমসে অ্যাথলেটিক দলে ছিলেন। কিন্তু ইভেন্টের একদিন আগে পায়ের মাংসপেশীতে টান পড়ায় অংশ নিতে পারেননি। তার আগে ২০১৩ সালে তিনি নৌবাহিনীর ট্রেনিং শেষ করে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ গেমসে, জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। এ ইভেন্টে তার বেস্ট টাইমিং ৫২.৮০ সেকেন্ড। ২০১৪ সালে এ সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছিলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে।

তিন বছর বিজেএমসিতে চাকরি করার পর ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি তিনি যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে। আলোর বাবা আবদুল কুদ্দুস সরদার চাকরি করতে বিজেএমসিতে। খেলতেন ডিসকাস থ্রো।

‘বাবার আগ্রহেই আমি অ্যাথলেট হয়েছি। তিনি সব সময় আমাকে অনুপ্রেরণা দেন। এখন আমার সংস্থা সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। বিশেষ করে আমাদের সচিব স্যার (বাংলাদেশ নৌবাহিনী ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সচিব লে. কমান্ডার এস এম সাউদ) আমাকে সব সময় উৎসাহ দেন। তিন বছর ধরে আমাকে ট্রেনিং দিচ্ছেন কোচ ফারুক আহমেদ খান। তিনি আমাকে আরো ভালো করার জন্য প্রস্তুত করছেন।’-স্বর্ণ জয়ের পর জানালেন আলমগীর হোসেন আলো।

আরআই/এমএমআর/এমএস

Advertisement