দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার ২০০ মিটার থেকে দূরে ছিলেন গত দুটি মিটে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জয়ের হ্যাটট্রিকের পর আর খেলেননি এ ইভেন্ট। আবার ফিরেই ছিনিয়ে নিলেন অ্যাথলেটিকের দ্বিতীয় আকর্ষণীয় ইভেন্টটির শ্রেষ্ঠত্ব।
Advertisement
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ৪১ তম জাতীয় অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে ২৫.৫৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ অ্যাথলেট। শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশ সেনবাহিনীর সুস্মিতা ঘোষকে। সুস্মিতা ঘোষ রৌপ্য জিতেছেন ২৬.১৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে।
এটি শিরিনের ২০০ মিটারে চতুর্থ স্বর্ণ। যার তিনটি জিতেছেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে, একটি সামার অ্যাথলেটিকে। ‘আমি ১০০ মিটারে গুরুত্ব দিয়েই মাঝে খেলিনি ২০০ মিটার। এখন দলের স্বার্থে আবার ফিরলাম এ ইভেন্টে। আমার সংস্থা চাইলে এ ইভেন্ট অব্যাহত রাখবো’-স্বর্ণ জয়ের পর বলেছেন ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিকভাবে যোগ দেয়া বিকেএসপির এ সাবেক ছাত্রী।
মেয়েদের ২০০ মিটার পুরনো মুখ ফিরে এলেও একেবার নতুন মুখ ছেলেদের বিভাগে। একই সংস্থার মো. আবদুর রউফ ২১.৭৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে জিতেছেন এ ইভেন্টের স্বর্ণ। রউফের এটি জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় অংশগ্রহণ।
Advertisement
তবে প্রথম আসরে ১০০ মিটার রিলে খেললেও ২০০ মিটারে তার অংশ নেয়া এবারই প্রথম। প্রথম অংশ নিয়েই এ ইভেন্টে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়লেন সিলেটের এ যুবক। স্বর্ণ জয়ের দৌঁড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ জেলের সাইফুল ইসলাম খান সানি ও সাবেক চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শরিফুল ইসলামকে। শরিফুল ২২.০৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে রৌপ্য এবং সানি ২২.১৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
জাতীয় অ্যাথলেটিকের ৪১ তম আসরের উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে অনেক দিন পর ইলেক্টনিক্স টাইমারে দৌঁড়ালেন অ্যাথলেটরা। এই প্রথম ঘরোয়া অ্যাথলেটিক উদ্বোধন করলেন একজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা। এশিয়ান অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সহ সভাপতি দাহলান আল হামাদ।
আরআই/এমএমআর/এমএস
Advertisement