'এল ক্ল্যাসিকো'-বরাবরই ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এক লড়াই। শুধু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার মধ্যে খেলা বলেই নয়, গত কয়েক বছর ধরে লড়াইটা হয়ে গেছে বিশ্ব সেরা দুই ফুটবলারের লড়াই, লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সম্মানের লড়াই।
Advertisement
'এল ক্ল্যাসিকো'-জাঁকজমকের মাঝে তাই সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে থাকে এই দুটি নামই। যাদের মধ্যে সেরার লড়াইটা অমীমাংসিত আছে, থাকবে হয়তো সারাটা জীবন।
অন্য বছরগুলোর মতো রোনালদো-মেসির চিরায়ত লড়াইটা 'যুদ্ধ-যুদ্ধ' আমেজ ছড়িয়েছে ২০১৭ সালের প্রায় পুরোটা জুড়েও। এ বছরটা তাদের জন্য আর দশটা বছরের থেকে আলাদা। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানোর আগে তারা দু'জনই যে এখন এক কাতারে দাঁড়িয়ে।
এই বছরে দুজনের গোলই ৫৩টি করে, এ বছর ব্যালন ডি'অরের সংখ্যায়ও মেসিকে ধরে ফেলেছেন রোনালদো। গোল্ডেন বুট, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা-সব কিছুতেই 'কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান'। বছরের শেষে দাঁড়িয়ে এল ক্ল্যাসিকোতে তাই দু'জনের চোখ থাকবে একটুখানি এগিয়ে যাওয়ায়। তাতে নৈতিক বিজয়টা তো হবে!
Advertisement
এ বছর সাফল্যের হিসেবে কিছুটা এগিয়ে রোনালদো, তবে সব মিলিয়ে মেসির সমান সমানই দাঁড়িয়ে পর্তুগিজ যুবরাজ। দুইজন খেলেছেন আলাদা স্টেডিয়ামে, আলাদা সময়ে, আলাদা দলে। অথচ গোল সংখ্যা কাঁটায় কাঁটায় ৫৩; কাকতালীয় ব্যাপারই বটে!
দু'জনের দলে দু'জনের গুরুত্বটাও প্রায় সমান সমানই। পরিসংখ্যান বলছে, রোনালদো যে সব ম্যাচে খেলেছেন; সে সব ম্যাচে রিয়ালের জয়ের হার শতকরা ৭৫.৩৬ ভাগ। মেসির খেলা ম্যাচে বার্সেলোনার জয়ের হার ৭৫.৬৩ ভাগ।
রোনালদোর গোল করা ম্যাচে রিয়াল জিতেছে ৮৯.৫৩ ভাগ ম্যাচ। মেসির গোল করা ম্যাচে বার্সার জয় ৮৮.৯৪ ভাগ। সংখ্যাতত্ত্বেও একে অপরের চেয়ে কোনো জায়গায়ই চোখে পড়ার মতো ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারেননি।
ভক্ত-সমর্থকরা হয়তো এই পরিসংখ্যানে একটু বদল আসলেই তার পছন্দের খেলোয়াড়কে নিয়ে মাতামাতি শুরু করেন, এল ক্ল্যাসিকোর পর হয়তো একটু খানি এগিয়ে যাবেন কেউ একজন। তবে তাদের জন্মই তো হয়েছে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য। মাতামাতির সময়টা তাই খুব বেশি স্থায়ী হয় না কোনো পক্ষেরই।
Advertisement
এমএমআর/এমএস