আন্তর্জাতিক

রোজ সকালে তার ঘুম ভাঙাতে আসে হনুমানের দল

বয়স তার মাত্র দু’বছর। নাম সমর্থ বাঙ্গারি। তাকে ঘিরে রাখে হনুমানের দল। দু’বছর বয়সেই হনুমানদের রাজা বনে গেছে সে। মজার ব্যাপার হলো, এখন পর্যন্ত ঠিকমতো মায়ের ভাষা আয়ত্ত করতে পারেনি সমর্থ। তবে হনুমানদের বুঝিয়ে দিয়েছে নিজের ভালবাসা।

Advertisement

উত্তর প্রদেশের বাহরিয়াক জঙ্গল থেকে ১০-১১ বছরের এক মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছিল চলতি বছরের শুরুর দিকে। জঙ্গলের বাসিন্দা ওই মেয়ে হনুমানদের সঙ্গে থাকতে থাকতে ভুলে গিয়েছিল মানুষের ভাষা।

সমর্থের ঘটনাটা কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। সে জঙ্গলে থাকে না। থাকে বাবা-মা’র সঙ্গে, গ্রামেই; কর্ণাটকে। তার সঙ্গে দেখা করতে হাজির হয় হনুমানকুল। কোনোদিনই সেই মোলাকাত মিস হয় না তাদের। এমনই সম্পর্ক।

কী করে হল এমন সম্পর্ক! প্রথম প্রথম সকলেরই ভয় হয়েছিল দৃশ্যটা দেখে। এক খুদেকে ঘিরে রেখেছে ২২ থেকে ২৫ টি হনুমান! যদি আঁচড়ে কিংবা কামড়ে দেয়! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সে সব কিছুই ঘটেনি। বরং ধীরে ধীরে তারা হয়ে উঠেছে ছোট্ট সমর্থের বন্ধু।

Advertisement

মা-বাবা মাঠে কাজে গেলে দিনের বেশ খানিকটা সময় হনুমানদের সঙ্গেই কাটে সমর্থের। কর্ণাটকের ধারওয়া জেলার আল্লাপুরের বাসিন্দা সমর্থ ঘুমিয়ে থাকলে হনুমানরাই ডেকে তোলে তাকে। নিজের খাবারের অংশ সে তুলে দেয় হনুমানদের হাতে। দূর থেকে মুগ্ধ হয়ে সে দৃশ্য দেখেন গ্রামবাসীরা।

একবার সমর্থের সঙ্গে ছিল আর এক খুদে। কিন্তু হনুমানরা তাকে মোটেই পছন্দ করেনি। উল্টে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছিল। আসলে সমর্থের সঙ্গে যে রসায়ন, তা অন্যদের সঙ্গে নেই তাদের।

কেবল আল্লাপুর বা ধারওয়া নয়, সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে সমর্থের নাম, না-মানুষদের সঙ্গে তার নিবিড় বন্ধুত্বের সত্যি আখ্যান। এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভিনদেশেও ছড়িয়ে যাচ্ছে সমথ্যের আখ্যান।

কেএ/এমএস

Advertisement