অর্থনীতি

বীমা নিয়ে মানুষের আগ্রহ গর্বকরার মতো : অর্থমন্ত্রী

দেশের বীমা খাতে চুরি-চামারি হয় এবং বিভিন্ন ফাঁকি রয়েছে বিভিন্ন সময়ে এমন মন্তব্য করা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবার বলেছেন, বীমা খাত নিয়ে দেশের মানুষের আগ্রহ গর্বকরার মতো।

Advertisement

শুক্রবার সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে দ্বিতীয় বীমা মেলা ২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দুই ধরণের বীমা রয়েছে। জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা, এ দুই ক্ষেত্রেই বীমার উল্লেখযোগ্য প্রসার হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যত বাড়বে, বীমা খাত ততই বিকশিত হবে।

‘বীমা এখন দেশের বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বীমার দিকে মানুষের যে আগ্রহ তা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করতে পারি। কারণ অনাবরত মানুষের সেই আগ্রহ বাড়ছে’ বলেন মুহিত।

Advertisement

তিনি বলেন, আগে মুখে মুখে লেনদেন হলেও এখন সবই আনুষ্ঠানিকভাবে হয়। ফলে বীমার দায়িত্বটা অনেক বেড়ে গেছে। বীমা লেনদেনের ঝুঁকি অন্যভাবে রোধ করে দেয়।

দু’দিনের মেলায় মানুষ বীমা সম্পর্কে সচেতন হবে এমন প্রত্যাশা করে মুহিত বলেন, বীমা সম্পর্কে দেশে যতই সচেতনতা বাড়বে ততই দেশের অর্থনীতির উন্নতি হবে।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মানিক চন্দ্র দে, আইডিআরএ সদস্য গকুল চাঁদ দাস, সান লাইফের চেয়ারম্যান রুবিনা হামিদ এবং পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী।

সভাপতির বক্তব্যে শফিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আইডিআরএ বীমা খাতের ইমেজ সংকট উদ্ধারে কাজ করছে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে ইতিবাচক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা বীমা কোম্পানিগুলোকে বীমা দাবি পরিশোধে উৎসাহিত করছি। তাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ফলে গত তিন মাসে ১০০কোটি টাকার মতো বীমা দাবি পরিশোধ হয়েছে।

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম ই্উসুফ আলী বলেন, বীমা কোম্পানির নামে বদনাম ছিল তারা বীমা দাবি পরিশোধ করে না। এ বদনাম আগামীতে আর যাতে না থাকে আমরা সে লক্ষে কাজ করছি।

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সহ-সভাপতি রুবিনা হামিদ বীমা সেক্টরের উন্নয়নে এজেন্টের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং গ্রাহকদের লভ্যাংশর ওপর নির্ধারণ করা ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এমএএস/এমএমজেড/পিআর