বিশেষ প্রতিবেদন

হাতিরঝিলের পানিতে দোকানের ময়লা : দুর্গন্ধ-ভোগান্তিতে পথচারীরা

দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলের পরিবেশ এখন বিপর্যয়ের মুখে। ঝিলের পানিতে ভাসছে ময়লা পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনা। ফলে দর্শনার্থী ও পথচারীরা নাকে রুমাল চেপে ঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান ১ সংলগ্ন গুদারাঘাট হয়ে লেকপাড় রাস্তার দুই ধারে ফাস্টফুডের দোকান। বিকেল থেকে রাত অবধি জমজমাট বেচাকেনা চলে এসব দোকানে। দর্শনার্থী- পথচারীদের পদচারণায় মুখর থাকে পুরো এলাকা। হাতিরঝিলের পানির উপরে ফুটপাত ঘিরে গড়ে উঠা এসব ফাস্টফুডসহ নানা খাবারের দোকানের খাবার খান আগতরা। খাওয়া শেষে উচ্ছিষ্টসহ যাবতীয় ময়লা ফেলা হয় পানিতে। ফলে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে হাতিরঝিলের পানি।

এ দূষিত পানির ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেছে ওয়াটার ট্যাক্সি। এ থেকে সৃষ্ট ঢেউয়ের কারণে আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় নাকাল দর্শনার্থী-পথচারীরা। এছাড়া পুরো পানিতে সবসময় পচা ময়লা-আবর্জনা ভাসতে দেখা গেছে।

গুদারাঘাট সংলগ্ন ফুটপাতে গড়ে উঠা একটি দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে ইন্ডিয়ান দোসা খাচ্ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন আহমেদ। তিনি বলেন, এখানে খাবারের অস্থায়ী দোকানগুলো থেকে উচ্ছিষ্টসহ অন্যান্য ময়লা প্রতিদিন ঝিলপাড়ে ফেলা হয়। যে কারণে ময়লা স্তুপ হয়ে থাকে। পরে ওয়াটার ট্যাক্সির ঢেউয়ে ফলে ময়লা পানিতে মিশে পচে দুগন্ধের সৃষ্ঠি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে এখনই ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এ দুর্গন্ধের মাত্রা আরও বাড়বে।

Advertisement

ওয়াটার ট্যাক্সিতে চড়ে এফডিসি ঘাট থেকে গুদারাঘাটে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী জুয়েল রানা। ঝিলের পানির দুর্গন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্গন্ধের কারণে ওয়াটার ট্যাক্সিতে যাতায়াতকারীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়া পানিতে বিভিন্ন ধরনের ময়লা ভাসতে দেখা যায়। দুর্গন্ধের কারণে ওয়াটার ট্যাক্সিতে যাতায়াতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে।

হাতিরঝিলের পানিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলারবিষয়ে গুদারাঘাট এলাকায় ফাস্টফুট দোকানি জামিল আহমেদ বলেন, আমরা এখানে ময়লা ফেলি না। তবে মাঝে মাঝে কিছু আবর্জনা জমা করে রাখা হয়। ফলে কিছু ময়লা পানির পাশে পড়ে বা কুকুর টেনে হিছড়ে পানির দিকে নিয়ে যায়। যে কারণে পানির পাশে ময়লা দেখা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জামাল আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ময়লা পানিতে ফেলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দোকানিদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি তারা ময়লা-আবর্জনা ফেলা তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএস/এএইচ/পিআর

Advertisement