ধর্ম

আল্লামা ড. মোস্তফা আজমির ইন্তেকাল

বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ড. মোহাম্মদ মোস্তফা আজমি (৮৭) ২০ ডিসেম্বর বুধবার বাদ ফজর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)৷ আল্লামা মুস্তাফা আজমি ছিলেন প্রখ্যাত মুহাদ্দিস এবং দেওবন্দের একজন প্রসিদ্ধ আলেম।

Advertisement

তাঁর গভীর পান্ডিত্য ও ইলমি প্রজ্ঞাই তাঁকে এনে দেয় কিং ফয়সাল ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড। তিনি লাভ করেছিলেন সৌদি আরবের নাগরিকত্ব।

আল্লামা আজমি ১৯৩০ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫২ উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ইসলামি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ফারেগ হন। তিনি খতমে নবুয়াতের ওপর গবষেণা ও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৫৩ সালে তিনি বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি বিদ্যাপীঠ জামে আল-আজহার মিশর থেকে (এমএ) উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

Advertisement

১৯৫৫ সালে কাতারে গমন করেন এবং সেখানে কিছুদিন অনারব ছাত্রদের আরবি ভাষা শেখানো দায়িত্ব পালন করেন এবং কাতার পাবলিক লাইব্রেরির খেদমতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন।

১৯৬৪ সালে তিনি কাতার থেকে লন্ডন যান এবং ১৯৬৬ সালে ঐতিহ্যবাহী ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাদিস শাস্ত্রের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি আরো দুই বছর কাতারে অতিবাহিত করেন।

১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি পবিত্র নগরী মক্কার উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি বাদশাহ আল-সৌদ ইনসটিটিউটে ইলমে হাদিসের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Advertisement

ইলমে দ্বীন ও হাদিসের অসাধারণ প্রতিভা ড. আজমি ১৯৮০ সালে ইলমে হাদিসের অনন্য খেদমতের জন্য কিং ফয়সাল ওয়ার্ল্ড পুরস্কারে ভূষিত হন এবং ১৯৮১ সালে ইলমে হাদিসের খেদমতের ভিত্তিতে তিনি সৌদি আরবের নাগরিকত্ব লাভ করেন৷ ইন্তেকালের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি সৌদি আরবেই অবস্থান করেন।

আল্লাহ তাআলা ইলমে দ্বীন ও হাদিসের খাদেম আল্লামা আজমিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আইআই