জাতীয়

হাসপাতালে দর্শনার্থী প্রবেশ ও টয়লেট ব্যবহারে ফি নির্ধারণের ভাবনা

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে দর্শনার্থী প্রবেশ ও টয়লেট ব্যবহারে ফি নির্ধারণের কথা ভাবছে সরকার। এ পদক্ষেপ ধীরে ধীরে সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালে সম্প্রসারণ করা যায় কি না তাও ভেবে দেখা হবে।শনিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালের পরিচালক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সারাদেশের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতাকালে এই পদক্ষেপ বিবেচনার করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, হাসপাতালে অহেতুক দর্শনার্থীর ভিড় কমিয়ে চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ ভূমিকা রাখবে। হাসপাতালগুলোতে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও রোগী ও তার জন্য নির্ধারিত পাসধারী দুইজন দর্শনার্থী ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ করা যায় কিনা তা ভেবে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন মন্ত্রী।তিনি বলেন, সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর নজর দেয়ার সময় এসেছে। এ লক্ষ্যে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য রোগীর দর্শনার্থীর অহেতুক ভিড় কমাতে নতুন করে আমাদের ভাবতে হবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে ডাক্তারদের উপস্থিতি যে কোন মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। কি কারণে ডাক্তারদের উপস্থিতি শত ভাগ নিশ্চিত হচ্ছে না, তা চিহ্নিত করে নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে।বর্তমান অর্থবছরে ব্যয় বরাদ্দ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা কঠোরভাবে মেলে চলার নির্দেশ দিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, অতীতের মত চাহিদা পত্র আর গ্রহনযোগ্য হবে না। অর্থ প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে যেখানে এ সংক্রান্ত কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ব্যয় মঞ্জুরির ক্ষেত্রে যে কোন অনিয়ম প্রতিরোধে গঠিত এই দু’টি কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।রাজধানীর কোন কোন হাসপাতালে দর্শনার্থী ও টয়লেট ফি প্রযোজ্য হবে এবং তার পরিমাণ কত হবে তা নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য শিগগির সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনা বসবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।এছাড়াও বৈঠকে হাসপাতালে মেডিকেল রিপ্রেজেনটিটিভ এর অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মান বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজরুল ইসলামসহ রাজধানীর সকল জেনারেল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ এবং ৭ বিভাগের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।এসএইচএস/আরআই

Advertisement