দেশজুড়ে

বেনাপোল পোর্ট থানায় হাঁটু পানি

তিন দিনের টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতায় বেনাপোল পোর্ট থানায় হাঁটু পানি জমেছে। এতে একদিকে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিড়ম্বনার মধ্যে করতে হচ্ছে অফিস। অন্যদিকে পানির মধ্যে আটকা পড়ে ভোগান্তির শেষ নেই হাজতবাসীর। বন্দরের সামনে পাকা সড়ক ও পিছনে রেলপথ উচু থাকায় বন্দরের অভ্যন্তরের পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে বর্ষার পানি বন্দরের শেডের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। আর পোর্ট থানা বন্দরের মধ্যে হওয়ায় সেখানেও পানি প্রবেশ করে জলবদ্ধতার সৃষ্টি করছে।পোর্ট থানায় সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি রুমে হাঁটু পানি জমে আছে। পুলিশ সদস্যরা অফিসের ফাইলপত্র বাঁচাতে হাতে হাত মিলিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পানি নিষ্কাশনের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাজতখানায় আসামিরা কেউ হাঁটু পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে, আবার কেউ কাঠের বেঞ্চের উপর বসে সময় পার করছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলায় দুটি থানা রয়েছে। এর একটি হচ্ছে শার্শা থানা, অপরটি হচ্ছে বেনাপোল পোর্ট থানা। অনেক আগেই শার্শা থানা স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে বন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্যের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে স্থলবন্দরের প্রশাসনিক ভবনের পাশে পুরনো পরিত্যক্ত একটি ভবনে অস্থায়ীভাবে পোর্ট থানার কার্যক্রম শুরু হয়। সেই থেকে আজও পর্যন্ত ওই জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পোর্ট থানার কার্যক্রম। ভবনের অধিকাংশ স্থানে ফাটল ধরেছে।ছাদের ঢালাই খসে পড়ে রড বেরিয়ে এসেছে। জায়গার অভাবে অস্ত্রাগারের মধ্যেই কোনো রকমে একটি গেট তৈরি করে রাখা হচ্ছে আসামিদের। হাজতখানায় জায়গার অভাবে একজনের গায়ের উপর অন্যজন শুয়ে বসে সময় পার করছেন। আবার অনেক আসামিকে বাধ্য হয়ে থানার বারান্দা ও অফিস রুমে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে।বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, পোর্ট থানার ভবনটি ব্যবহারের একেবারে অনুপোযোগী হলেও নিরুপায় হয়ে ঝুঁকির মধ্যে তা আমাদের ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালাতে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।এদিকে, স্থানীয়রা জানান, বন্দর নগরী হওয়ায় এখানে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের বসবাস। বিপুল রাজস্ব আদায়ের কারণে এখন বেনাপোল প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। কিন্তু এখানে তুলনামূলকভাবে সেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়নি। প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন থাকলেও সেগুলো পরিষ্কার না করায় ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।এ ব্যাপারে বেনাপোল পৌর সচিব রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান করে পৌরসভার উন্নয়ন কাজ চলছে। এতে করে এখন সাময়িক সমস্যা হলেও খুব দ্রুত উন্নয়নমূলক কাজের সুফল পৌরবাসী ভোগ করবে।জামাল হোসেন/এআরএ/আরআই

Advertisement