এনামুল হক বিজয় যেন দিন দিন নিজেকে জাতীয় দলে ফেরার দাবিটাকে জোরালো থেকে জোরালো করে তুলছেন। বিপিএলে তার দল চিটাগং ভাইকিংস হয়তো ভালো করতে পারেনি। তবে ব্যাটসম্যান বিজয় দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। সেই ধারবাহিকতা এবার ধরে রাখলেন জাতীয় লিগেও।
Advertisement
এমনিতেই এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে শিরোপার প্রায় দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে খুলনা বিভাগ। সাভারের বিকেএসপি গ্রাউন্ডে ঢাকা বিভাগকে সামনে পেয়ে ৬ষ্ঠ রাউন্ডে দারুণ জ্বলে উঠলো খুলনা বিভাগ। পুরো দল বললে বলা যায় ভুল বলা হবে। জ্বলে উঠেছে এনামুল হক বিজয় আর মেহেদী হাসানের ব্যাট। দু’জনের ব্যাটে দ্বিতীয় দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭০ রান।
মেহেদী হাসান মিরাজের অসাধারণ ঘূর্ণি তোপে পড়ে মাত্র ১১৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ঢাকা বিভাগ। ২৪ রান দিয়ে একাই ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
জবাব দিতে নেমে প্রথম দিন কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৩ রান করে খুলনা। ১২ রানে এনামুল হক বিজয় এবং ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য সরকার। আজ ব্যাট করতে নেমে ৫৩ বলে ৩০ রান করে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। দলীয় রান এ সময় ৮৯। এরপরই জুটি বাধেন মেহেদী হাসান এবং এনামুল হক বিজয়।
Advertisement
বিজয়ের সঙ্গে যে মেহেদী জুটি বেধেছেন, তিনি মেহেদী হাসান মিরাজ নন। বিপিএলে কুমিল্লার হয়ে বল হাতে ঝড় তোলার স্পিনার মেহেদী হাসান। তার পরিচয় মূলতঃ স্পিনার। কিন্তু তিনি যে ব্যাট হাতেও পারঙ্গম, সেটা প্রমাণ করলেন জাতীয় লিগে এসে। শুধু তাই নয়, এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন খুলনার ২৩ বছর বয়সী এই যুবা।
বিজয় আর মেহেদী হাসান মিলে জুটি গড়েন ২৮১ রানের। আজ সারাদিনে বিকেএসপিতে পড়েছে মাত্র ১ উইকেট। মোহাম্মদ শরীফের বলে সেই উইকেটটি উইকেটের পেছনে নাহিদুজ্জামানের হাতে বিলিয়েছেন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় দিন শেষে ১৬৭ রানে এনামুল হক বিজয় এবং ১৬৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন মেহেদী হাসান।
বিজয় খেলেছেন ২০৬ বল। ১৮টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কার মার রয়েছে তার ব্যাটে। মেহেদী হাসান বাউন্ডারি মেরেছেন ২০টি এবং ছক্কা মেরেছেন ২টি। দ্বিতীয় দিন শেষেই ঢাকার চেয়ে খুলনা এগিয়ে রয়েছে ২৫৭ রান।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement