নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার শিশুবাগ বিদ্যালয়ের অবৈধ ম্যানেজিং কমিটির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। তিন মাস আগে কমিটির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত দাখিলের জন্য বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত তিনি তদন্ত শুরু না করায় আবারো তাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শিক্ষা শাখা। এর আগে স্কুলটির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিকবার আবেদন দেয় অভিভাবক প্রতিনিধিরা।অভিযোগে অভিভাবকরা উল্লেখ করেন, বন্দরে ১৯৭০ সালে শিশুবাগ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের প্রবিধান বা নীতিমালা অনুসারে পরিচালিত হয়ে আসছিল। ২০১০ সালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের পর থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও পরবর্তীতে কোন নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি অভিভাবকদের স্বার্থকে অগ্রাহ্য করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল ও আজীবন স্বপদে থাকার জন্য রেজুলেশন করে নীতিমালা ভঙ্গ করে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধ। অভিভাবকদের ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও তারা নির্বাচন না দিয়ে অবৈধভাবে পরিচালনা করে আসছে। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্যের মধ্যে ৩ জন অভিভাবকদের সন্তান কেউ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে না। এছাড়াও বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও অভিভাবক সদস্যরা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।এদিকে অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ এপ্রিল অবৈধ ম্যানেজিং কমিটির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসনে আরা বেগম। তবে গত ৩ মাসেও তিনি কোন তদন্ত না করায় গত ৮ জুলাই আবারো তাকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেন হোসনে আরা। এতে ৩ দিনের মধ্যে কার্যালয়কে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কুতুবউদ্দিন খান ও প্রধান শিক্ষক রোকসানা বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনারা বেগম জাগো নিউজকে জানান, তিনি ওইসময় ছুটিতে ছিলেন। বর্তমানে স্কুল বন্ধ রয়েছে। ঈদের ছুটির পরে স্কুল খুললে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে। মো. শাহাদাৎ হোসেন/এসএস/আরআইপি
Advertisement