প্রবাস

ইতালিতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন

‘নিরাপদ অভিবাসন যেখানে, টেকসই উন্নয়ন সেখানে’। এই স্লোগানকে সামনে রেখে ইতালির বোলজানো বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করা হয়েছে।

Advertisement

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদের সভাপতিত্বে এবং কনসাল রফিকুল করিমের সঞ্চালনায় শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিবের পাঠানো বাণী পড়ে শোনান কনসাল মোহাম্মদ রফিকুল করিম ও কনসাল একেএম সামছুল আহসান।

বিশ্ব অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান ছাড়াও শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিস্কুট রেস, মহিলা ও পুরুষদের জন্য পিলু পাসিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মেডেল পরিয়ে দেন ও ক্রেস্ট প্রদান করেন কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ।

এছাড়া দুই দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়। ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর অভিবাসীরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪৫/১৫৮ প্রস্তাব আকারে গ্রহণ করে। বিশ্বের সব দেশকে এ সনদের সঙ্গে সঙ্গতির আহ্বান জানানো হয়। ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Advertisement

তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় ২৩ কোটি ২০ লাখ জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী। অভিবাসীদের প্রায় ৫০ শতাংশই দেশে ন্যায্য মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত।

বাংলাদেশের প্রায় ৮৫ লাখ অভিবাসী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে সচেতন। যে কারণে সরকারিভাবে বিদেশে শ্রমিক প্রেরণ করছে।

এছাড়া, তরুণ সমাজ দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে তুলছে। ডিজিটালাইজড ডাটা ব্যাংক, দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে তোলা, সরকারি অর্থ সহযোগিতায় সরকারি পর্যায় শ্রমিক পাঠানোর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

অভিবাসী শ্রম ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার কারণে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বেড়ে চলছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র বিমোচনে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ ব্যাপারে লোম্বার দিয়া আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ মিলান বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ইতালির বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন।

Advertisement

অসহায় কয়েকটি পরিবারের সহায়তা করেছেন মাইগ্রান্টস রাইটসের সংগঠনের মাধ্যমে। এছাড়া মিলান এবং মিলানের বাহিরের শহর গুলোতেও অভিবাসীদের নিয়ে অভিবাসী দিবস পালন করে আসছেন। অনুষ্ঠানে বোলজানো শহরের কমিউনিটির নেতাসহ প্রবাসী বাংলদেশিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

এমআরএম/জেআইএম