জাতীয়

কৌশলী ডাকাত দল, ডাকাতির পর রাজধানী থেকে পলায়ন

রাজধানীর ভেতরে ডাকাতির পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি এড়িয়ে যেতে ডাকাতরা কৌশল হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নেয়। অনেক ক্ষেত্রে ঢাকার সীমান্ত এলাকায় ডাকাতি করে রাজধানীতে আশ্রয় নেয় ডাকাত দল।  শুক্রবার রাজধানীর তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমসহ ৯ ডাকাতকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের একটি দল। পরে ডিবি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এসব তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য। ওই এলাকায় তারা ডাকাতির জন্য একত্রিত হচ্ছিলেন।গ্রেফতারকৃতরা হলেন ডাকাত চক্রের মূলহোতা ইব্রাহীম, মো. আল আমিন, মো. সিদ্দিক, আলমগীর বকশ, মো. রিয়াজ উদ্দিন, মো. খিজির আহমেদ, মো. সহিদুল, আ. রব এবং আব্দুল হালিম। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে সোয়া দুই ভরি স্বর্ণ, ছুরি, চাপাতি, দা ও রডের তরবারি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মনিরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতি করা স্বর্ণ তারা আ. রব এবং আব্দুল হালিমের কাছে কাছে বিক্রি করতো ডাকাত দল। এদের একটি স্বর্ণের দোকান আছে। ডাকাতির স্বর্ণ দিয়েই তারা ওই দোকান চালাতেন। যুগ্ম কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা মূলত নরসিংদীর গাউছিয়া, মাধবদী ও নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার এলাকার বাসিন্দা। তারা এই এলাকা থেকে প্রায়ই ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রবেশ করে ডাকাতির পর সহজেই নিজ এলাকায় চলে যায়। ডাকাত সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়ক ও ঢাকা মহানগরী এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতি করে আসছে। এই ডাকাত চক্রের সঙ্গে আরো সদস্য জড়িত রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম। গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (উত্তর) বিভাগের ডিসি শেখ নাজমুল আলমের নির্দেশনায় এডিসি কাজী শফিকুল আলমের তত্ত্বাবধানে ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম নাজমুল হক অভিযানটি পরিচালনা করেন।জেইউ/বিএ/এমআরআই

Advertisement