কোরীয় উপদ্বীপকে বিভক্তকারী কড়া পাহাড়াবেষ্টিত অসামরিক এলাকা দিয়ে আবারো উত্তর কোরিয়ার এক সেনাসদস্য দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে অসামরিক এলাকা দিয়ে উত্তরের এক সেনাসদস্য হেঁটে দক্ষিণের সীমান্তে ঢুকে পড়েন। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে, ঘণ কুয়াশা থেকে বেরিয়ে একটি তল্লাশি চৌকিতে এসে পৌঁছান তিনি।
Advertisement
গত দুই মাসে উ. কোরিয়া থেকে দক্ষিণে এ নিয়ে দুই সেনার পালিয়ে যাওয়ার এ ঘটনায় সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। উ. কোরীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে সীমান্তে সতর্কতামূলক গুলি নিক্ষেপ করেছে সিউল।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে অসামরিক এলাকা দিয়ে উত্তরের এক সেনাসদস্য হেঁটে দক্ষিণের সীমান্তে ঢুকে পড়েন। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে, ঘণ কুয়াশা থেকে বেরিয়ে একটি তল্লাশি চৌকিতে এসে পৌঁছান তিনি।
বিবিসি বলছে, চলতি বছরে এ নিয়ে উত্তরের চার সেনাসদস্য দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়েছে। গত মাসে নাটকীয়ভাবে এক সেনাসদস্য দক্ষিণ কোরিয়ায় পালানোর পর এ ঘটনা ঘটল।
Advertisement
গত ১৩ নভেম্বর উ. কোরিয়ার এক সেনাসদস্য পানমুঞ্জম গ্রামের যৌথ নিরাপত্তা এলাকা দিয়ে দক্ষিণে ঢুকে পড়ে। ওই সময় উত্তরের সেনাসদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলি বর্ষণ করে। পরে সিউলের সেনারা তাকে উদ্ধার করে সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, উত্তরের এই সেনা অন্তত চারটি গুলির আঘাত পেয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, বুধবার ওই সেনাসদস্য দক্ষিণে ঢুকে পড়ার সময় কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। তবে পলায়নের ওই ঘটনার ৯০ মিনিট পর দক্ষিণের সেনারা উত্তরের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেছে। ওই সময় উত্তরের সেনারা সীমান্ত এলাকায় তাদের সহকর্মীর খোঁজ করছিলেন।
দুই কোরিয়া একত্রীকরণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর নির্যাতন ও অভাবের তাড়নায় প্রায় ৩০ হাজার উত্তর কোরীয় নাগরিক দক্ষিণে পালিয়েছেন। শুধুমাত্র গত বছরই প্রায় ১৪১৮জন উত্তর কোরীয় নাগরিক দক্ষিণে পালিয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
Advertisement
এসআইএস/পিআর