খেলাধুলা

হাথুরুকে পেয়ে খুশি শ্রীলঙ্কা, দিতে চায় কাজের স্বাধীনতা

চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাই স্বাধীনতা, সেটা তিনি যেখানেই কাজ করেন না কেন। বাংলাদেশে থাকতে ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছেন, কখনও পেয়েছেন স্বাধীনতার চেয়েও একটু বেশি কিছু। হাথুরুর সাফল্যে সেই 'বেশি কিছু চাওয়া' নিয়ে বেশি কিছু বলার সাহস করেননি কেউ। এবার শ্রীলঙ্কার কোচ তিনি। চাওয়া পাওয়ার ফর্দটা নিশ্চয়ই সেখানেও দিয়েই রেখেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই কোচ।

Advertisement

হাথুরু কি কি শর্ত জুড়ে দিয়ে শ্রীলঙ্কা দলের দায়িত্ব নিয়েছেন, সেটা জানা যায়নি। তবে বাংলাদেশে সফল এই কোচকে শিবিরে ভেড়াতে লঙ্কানরা যে কোনো শর্ত মানতে রাজি, খবর বেরিয়েছিল আগেই। আবারও লঙ্কান বোর্ড সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপালা জানিয়ে দিলেন, হাথুরুকে সব ধরণের স্বাধীনতা দিতে প্রস্তুত তারা।

বুধবার ছিল শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের প্রথম আনুষ্ঠানিক দিন। এদিনই সুমাথিপালা সাফ জানিয়ে দেন, দলের দায়িত্ব দেয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক কোচকে পূর্ণ স্বাধীনতাও দেবেন তারা।

সুমাথিপালা বলেন, 'বিশ্বের সেরা একজন কোচকে নিয়ে তাকে কাজের স্বাধীনতা না দেয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। আমি কোচ নই। বোর্ডের কেউই কোচিংয়ের এই চাকরিটা হাথুরুসিংহের চেয়ে ভালো বুঝবেন না। আমাদের তাকে স্বাধীনতা দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি তার কাজ ভালোভাবেই করতে পারবেন। আমরা এটাও মনে করি, আমাদের কোনো প্রশ্ন থাকলে তিনি সময়ে সময়ে সেটার জবাবও দেবেন।'

Advertisement

শ্রীলঙ্কার অবশ্য কোচ বদলানোর স্বভাব রয়েছে। ২০১১ সালের পর তারা দশজন হেড কোচ পরিবর্তন করেছে। সর্বশেষ দায়িত্ব ছেড়েছেন গ্রাহাম ফোর্ড। তবে ২০০০ সালের পর থেকে এক মারভান আতাপাত্তু ছাড়া সবাই ছিলেন বিদেশী। হাথুরু কোচ হওয়ায় খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের ভাষাগত দূরত্বটাও থাকবে না, এই ব্যাপারটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সুমাথিপালা।

লঙ্কান বোর্ড প্রধানের আশা, এটা দলকে বাড়তি সুবিধা দেবে। তিনি বলেন, 'হাথুরুসিংহের মনোভাব খেলোয়াড়দের জন্য সঠিক হবে। কারণ সব কথার বড় কথা, তিনি একজন শ্রীলঙ্কান। খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার যোগাযোগটা ভালো থাকবে, এটা একটা সুবিধা। তাছাড়া হাথুরুসিংহের আধুনিক কোচের যা গুণ থাকা উচিত, সবই আছে।'

এমএমআর/পিআর

Advertisement