তথ্যপ্রযুক্তি

মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ

‘মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’শীর্ষক প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ৫টি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সেবা কিনছে সরকার। সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কমিটি এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

Advertisement

বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ‘মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’শীর্ষক প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ৫টি লটের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত ৫টি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সেবা ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকিউরমেন্ট অব সিভিল ওয়ার্কস কন্ট্রাকটর ফর ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের ২টি প্যাকেজে কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দুটি প্যাকেজে মোট খরচ হবে ৩৯০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

Advertisement

একই বিভাগের অধীনে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের মেঘনা ব্রিজ এবং মেঘনা-গোমতি ব্রিজের টোল প্লাজা অনলাইনে মনিটরিং বাড়ানোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা চালুর পাশাপাশি অন্যান্য সেবা ক্রয়-সংক্রান্ত কাজের এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে অতিরিক্ত ওজনবাহী যানবাহন থেকে আদায়কৃত মাশুল থেকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএসএল) এর জন্য একটি যৌক্তিক দর নির্ধারণ সম্পর্কিত ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পটিতে মোট কাজের অতিরিক্ত ১৪ শতাংশ কাজ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী ২য় সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতু পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ‘দ্য কন্সট্রাকশন অব কাঁচপুর, মেঘনা অ্যান্ড গোমতি সেকেন্ড ব্রিজেস অ্যান্ড রিহ্যাবিলাইটেশন অব এক্সিশটিং ব্রিজেস’ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৯৬৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে প্রাক্কলিত দরের চেয়ে এক লাখ টাকা কম ব্যয় হয়েছে।

তিনি বলেন, সেতু বিভাগের অধীনে পিপিপির আওতায় নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটিড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ‘এ’ ব্লকে প্রতিটি ১০০০ বর্গফুটের আয়তন বিশিষ্ট ৬টি ১৪ তলা ভবন নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৪৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

একই বিভগের অধীনে পিপিপির আওতায় নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটিড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ‘বি’ ব্লকে প্রতিটি ৮০০ বর্গফুটের আয়তন বিশিষ্ট ৬টি ১৪ তলা ভবন নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবটিও অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অতিরিক্ত সচিব জানান। প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ২৭৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

Advertisement

এমইউএইচ/এমআরএম/জেআইএম