দেশজুড়ে

নড়াইলে পৌঁছেছে মাশরাফির অ্যাম্বুলেন্স

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মাশরাফির শহর নড়াইলের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে একটি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। মূলত অনেকের অংশগ্রহণে নড়াইলের জনগণের উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যেই পথচলা শুরু হয়েছে ফাউন্ডেশনটির।

Advertisement

এবারের বিপিএল শুরুর আগে রংপুর রাইডার্স দলের অধিনায়ক মাশরাফি দলের মালিকপক্ষের কাছে সেই ফাউন্ডেশনের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন। মাশরাফির নেতৃত্বে রংপুর বিপিএল শিরোপা ঘরে তোলার পর তার চাওয়া পূরণে খুব একটা সময় নেয়নি রংপুর রাইডার্সদের মালিকপক্ষ বসুন্ধরা গ্রুপ।

অ্যাম্বুলেন্সটি তুলে দেয়া হয়েছে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের হাতে। অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।

নড়াইল এক্সপ্রেসকে রংপুর রাইডার্সের দেয়া উপহার অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সটি এখন নড়াইলে। অ্যাম্বুলেন্সটি বুধবার ঢাকা থেকে নড়াইলে এসে পৌঁছে। এখন থেকে সুবিধাবঞ্চিত রোগী সরাসরি এ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।

Advertisement

নড়াইল এক্সপ্রেসের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম অনিক জানান, রংপুর রাইডার্সের কাছ থেকে পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি এখন নড়াইলে। জেলায় অ্যাম্বুলেন্স সমস্যা প্রকট। ভাড়া অনেক বেশি। অনেক ক্ষেত্রে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়। সেজন্য সুবিধাবঞ্চিত রোগী সরাসরি এ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করবেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফি ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত। মূলত নড়াইলে মাশরাফির ভক্তদের উদ্যোগে এ বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নড়াইলের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মাশরাফির নেতৃত্বে নড়াইল এক্সপ্রেস নামে একটি ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

ইতোমধ্যে নড়াইল এক্সপ্রেসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নড়াইল শহরের কয়েকটি উন্মুক্ত স্থানে জনসাধারণের জন্য ফ্রি সুপেয় পানি খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেকার যুবকদের ঘরে বসে উপার্জনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে। শহরের দু’টি এলাকায় ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

নড়াইল এক্সপ্রেসের বিভিন্ন লক্ষ্য উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করা, উন্নত নাগরিক সুবিধা, বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা, বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা ও মানবিক শিক্ষার প্রচলন, বেকারত্ম দূর করার জন্য কর্মস্থান সৃষ্টি, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান, চিত্রা নদীকে ঘিরে আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা করা, আইসিটি শহরে রূপান্তরিত করা এবং পরিবেশকে সম্পৃক্ত রেখে বিনোদনবান্ধব শহর করা।

Advertisement

হাফিজূল নিলু/এএম/জেআইএম