সরকারি সফরে গিয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে হেনস্থার শিকার হয়েছেন একাধিক যুগ্ম-সচিবসহ ১২ সরকারি কর্মকর্তা। সিনিয়র একজন যুগ্মসচিব ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে নিজের পরিচয় দিতেই ‘গো, গো আউট ফ্রম হেয়ার’ বলে চিৎকার করে উঠেন। আজ (বুধবার) এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
যুগ্মসচিব (ফুড সেইফটি অথরিটি) মাহবুব কবির মিলনের ফেসবুক স্ট্যাটাস হতে এ তথ্য জানা যায়। স্থানীয় সময় ৪টা ৪১ মিনিটে ওই স্ট্যাটাসটি দেন তিনি। স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ‘সফররত সবার সরকার পাসপোর্ট ও সরকারি সফর হলে মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে অন এরাইভ্যাল ভিসা দেয়া হয়নি। এ সময় তাদের ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পাঠানো হলে চরম খারাপ ব্যবহার করা হয়। তাদের সঙ্গে ডলার অাছে কিনা, কত ডলার আছে তা জানতে চাওয়া এবং পকেট থেকে বের করে দেখাতে হয়।’
তিনি লিখেন, ‘শুধু তাই নয়, আমাদের সিনিয়র এক যুগ্ম সচিব স্যার আমাদের সরকারি পরিচয় দিলে ‘গো, গো আউট ফ্রম হেয়ার’ বলে চিৎকার করে ওঠে মহিলা ইমিগ্রেশন অফিসার!!’
তিনি আরও জানান, ‘কয়েক বছর আগে একবার এসেছিলাম এখানে। তখন দেখিনি এরকম। দিনে দিনে উন্নতি!! হয়েছে দুই দেশের সম্পর্কের, উন্নতি!! হয়েছে আমাদের অবস্থার, আমাদের মান সম্মানের।’
Advertisement
তিনি আরও লিখেন, ‘কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে আমাদের ব্র্যান্ডিং দেখলাম টয়লেট ক্লিনিং আর ফ্লোর সুইপিং। আহারে আমাদের সন্তানেরা। ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের গর্বিত অংশীদার এরা। সামান্য মর্যাদাটুকু পায় না। না দেশে, না বিদেশে।’
তিনি দুঃখ করে লিখেন, ‘এই দেশে আমাদের সাথে এমন ব্যবহার করলে, এরা কি অবস্থায় আছে, তা কল্পনা করলেও গা শিউরে ওঠে।’
কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কর্মরত বাংলাদেশি এক শ্রমিক ফ্লোর মোছার জিনিস পত্র হাতে এসে তাকে জানান, ‘স্যার চার লাখ টাকা দিয়ে আসছি, যে বেতন দেবে বলে আদম ব্যাপারী চুক্তি কতে এনেছে আমাদের, তার অর্ধেকও পাই না আমরা।’
মাহবুব কবির লিমন লিখেন, ‘কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর অংশীদার আমাদের এ ছেলেদের বিদেশ পাঠানো, বিশাল এক ব্যবসার হাতিয়ার। যা বিশ্বে কোথাও নেই। কোথায় আমাদের অবস্থান? দর কষাকষির ক্ষমতা এত কম কেন আমাদের? কবে উঠে দাঁড়াব আমরা।’
Advertisement
এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি