দেশজুড়ে

দুর্বৃত্তের চেতনানাশক স্প্রেতে একই পরিবারের ১৩ জন হাসপাতালে

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুর্বৃত্তের চেতনানাশক স্প্রেতে একই পরিবারে ১৩ জন অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ভৈরব শহরের কমলপুর গাছতলাঘাট এলাকায় তেলু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

অসুস্থরা হলেন- তেলু মিয়ার স্ত্রী ফুলমেহের বানু (৭০), তার বড় ছেলে শিশু মিয়া (৪৮), নাতি রুবেল (২৪), নাতনি ইয়াসমিন (৩০), নাতনি নিন্তা (৮), নাতনি রীতা বেগম (৪০), নাতনি রিগান (২৭), রিগানের স্ত্রী প্রিয়া বেগম (২২), রিগানের শিশুপুত্র রাগিব (৪), শিশু মিয়ার ছেলে রাসেল (১৮), তার মেয়ে মাহিমা (১৫), তেলু মিয়ার ছেলে জুয়েল (৪০) ও তার স্ত্রী নওরীন (২৫)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলাবার রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যরা যে যার রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। তেলু মিয়ার নাতি রুবেল রাতে খাবার খেয়ে বাসার বাইরে যায়।

কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে তিনি বাড়ির মূল গেট খোলা পান। রুমে ঢুকতেই মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। এ সময় রুবেল চিৎকার শুরু করলে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা তার রুমে ছুটে আসেন। এ সময় তারা দেখেন, পরিবারের সব সদস্যরা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। সেই সঙ্গে রুমগুলো থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। পরে প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

Advertisement

উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম জানান, অসুস্থদের গায়ে চেতনানাশক ওষুধের দুর্গন্ধ পাওয়া গেছে। তবে খাবারে বিষ জাতীয় কোনো দ্রব্যের লক্ষণ ছিল না।

তিনি বলেন, কেউ হয়তো বাসায় ঢুকে চেতনানাশক কোনো পদার্থ দিয়ে তাদেরকে অজ্ঞান করেছে। তবে অসুস্থদের মধ্য দুইজন ছাড়া অন্যরা আশঙ্কামুক্ত।

আসাদুজ্জামান ফারুক/এএম/জেআইএম

Advertisement