বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে কোন ধরনের রাজনীতি চলছে এবং আগামী নির্বাচনের অবস্থা কী দাঁড়াবে, সেই নির্বাচনে আমাদের কী ভূমিকা থাকবে, সরকারের ভূমিকা কেমন আছে, দেশ কেমন চলছে, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার কী ভূমিকা পালন করছে, এসব বিষয় জানতে চেয়েছে তুরস্ক।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়েছি, তারা তাদের মতামত দিয়েছেন। বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন মূলত রোহিঙ্গা সমস্যা সরেজমিনে দেখার জন্য এবং এই রোহিঙ্গা মুসলমানদের কীভাবে নিরাপত্তা সহকারে দেশে ফেরত পাঠানো যায় সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলতে তিনি এ দেশে এসেছেন। আপনারা জানেন প্রথম থেকেই তুরস্ক সরকার এবং দেশটির জনগণ এ ব্যাপারে সহানুভূতিশীল ছিল।
রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফেরত যেতে পারে এজন্য প্রথম থেকেই কাজ করছে তুরস্ক। তাদের ফাস্ট লেডি প্রথমেই এখানে এসেছিলেন, তারপরই বিষয়টা গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে।
Advertisement
আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কি বক্তব্য ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমাদের বক্তব্য বলেছি। তারা মনে করেন, রোহিঙ্গাদের সসম্মানে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্থায়ী সমাধান করতে হবে। পুরোপুরি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। এজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। জেরুজালেম ও ইসরাইল ইস্যুতে মির্জা ফখরুল জানান, তুরস্ক প্যালেস্টাইনের পক্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৪৫ মিনিটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/ওআর/আরআইপি
Advertisement