এর আগেও বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল জাতীয় দলের পেসার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে। সেবার হাতের হাড়ের সমস্যার কারণে এমন অ্যাকশন হয় বলে মুক্তি পান তিনি। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত পঞ্চম বিপিএলের আবারও তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ তোলেন আম্পায়াররা।
Advertisement
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ম্যানেজার নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসুও সন্দিহান আল আমিনকে নিয়ে। তিনি মনে করছে, আল-আমিনের বল আসলেই কিছুটা ত্রুটিপূর্ণ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আল-আমিনের পুনর্বাসনের প্রসঙ্গ উঠতেই নাসির উদ্দিন বলেন, 'আল-আমিন... হ্যাঁ, আপনি একটু ট্যাকনিক্যালি প্রশ্নটা করছেন। আল-আমিনের অনেকগুলো ম্যাচ ভিডিও আছে আমাদের কাছে। ভালো অ্যাঙ্গেল থেকেই আছে। মোটামুটি ভালো একটা প্রমাণ আছে, ওর বোলিংয়ে একটু সমস্যা আছে! সুতরাং ওকে রিহ্যাব করতে বলা হয়েছে। রিহ্যাব করে একটা জায়গায় আসলে, তারপর ওর আমরা পরীক্ষা নিবো।'
গত ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ইনিংসের ১৫তম ওভারে বল করতে আসা আল-আমিনের অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ হয় ফিল্ড আম্পায়ারদের। এরপরই অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
Advertisement
তবে নাসু সাংবাদিকদের জানান, আল-আমিনের সব বলে ত্রুটি নেই। তিনি বলেন, 'সব বলে না, ওর কিছু ভালো বলে পেয়েছি। সালাউদ্দীন (কোচ) বোধ হয় ওকে নিয়ে কাজ করছেন। সে কারণে ওর স্বাভাবিক বলগুলো ও সন্দেহজনক বলগুলোর ভিডিও সালাউদ্দীনকে দিয়ে দিয়েছি। '
এর আগে ২০১৪ সালের নভেম্বরে আরও একবার আল আমিনের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছিল। সেবার দুই দফা পরীক্ষা দিয়ে বোলিংয়ের বৈধতা পান তিনি।
কিন্তু আবারের অ্যাকশন নিয়ে বেশ সন্দিহান বিসিবির এমআইএস ম্যানেজার। তার মতে, 'এখানে এখন যেটা , ওর ম্যাচ ভিডিও দেখে যতটুকু পেয়েছি। সেটা হলো, এখানে হাইপার অ্যাকশন না। এখানে বেশ ভালো বেইন্ড অবস্থায়ই পাওয়া যাচ্ছে।'
এদিকে আজ বিসিবির একাডেমি মাঠে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলা আরেক অভিযুক্ত বোলার মোহাম্মদ শরিফুল্লাহর বোলিংয়ের ভিডিও নেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে নাসির উদ্দীন বলেন, 'আমরা তো আমাদের যে অ্যাঙ্গেল থেকে ফুটেজ নেয়া দরকার, সেই অ্যাঙ্গেল থেকে ফুটেজ নিয়েছি। এখন আমরা এগুলো বিশ্লেষণ করবো। ও যে বিপিএলে খেলেছে, ওই ফুটেজগুলোও আছে। ওগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখবো আসলে ওর কি অবস্থা।'
Advertisement
শরিফুল্লাহর বোলিং নিয়ে বলতে গিয়ে নাসুর অভিমত, 'আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খারাপ লাগে নাই। ম্যাচ ভিডিও কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রমাণ। ম্যাচ ভিডিও দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে ওকে একটু পরীক্ষা করে দেখা দরকার। এখানে হাইস্পিড ক্যামেরা ব্যবহার করি, অনেক স্লো-মোশন ক্যামেরা ব্যবহার করি। একটা বলকে ছ'টা অ্যাঙ্গেল থেকে নেই। এভাবে নিয়ে আমরা আসলে নিশ্চিত হতে চাচ্ছি, ওর আসল অবস্থা কি।'
এমএএন/এমএমআর/আইআই