জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৩২ জন সাক্ষীর জবাবনবন্দি উপস্থাপন করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
Advertisement
মঙ্গলবার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দাবি জানান দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
পূর্ব নির্ধারিত যুক্তিতর্কের টানা তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিনে বক্তব্য উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষ করেছেন কাজল।
আগামীকাল খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবেন তার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময় আবেদন করলেও বিচারক তা নামঞ্জুর করে আগামীকাল সাড়ে ১০টাতেই সময় বহাল রাখেন।
Advertisement
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এমএম/এনএফ/জেআইএম