ক্যাম্পাস

পদদলনে নিহতদের একজন চবি শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে গিয়ে পদদলনে নিহত ১০ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীও রয়েছে।

Advertisement

সোমবার দুপুরে নগরীর রীমা কমিউনিটি সেন্টারের ঢালু স্থানে হুড়োহুড়িতে পড়ে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়ে বর্তমানে আরও ১৮ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত চবি শিক্ষার্থী হলেন- চকরিয়া উপজেলার বড়ইতলীর সনাতন দাশের ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিপঙ্কর দাশ রাহুল (২৩)।

নিহত অন্যরা হলেন- উত্তর কাট্টলীর মৃত রায়চরণ দাশের ছেলে কৃষ্ণপদ দাশ (৩৫), নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা মধ্যম নোয়াপাড়ার লাল দাশের ছেলে সুধীর দাশ (৫০), গোসাইলডাঙ্গার মনোরঞ্জন তালুকদারের ছেলে প্রদীপ তালুকদার(৫৫), রাউজান নোয়াপাড়ার আশীষ বড়ুয়া (৩৮), নগরীর জামাল খান বাই লেনের বিনোদ বিহারী দাশের ছেলে ঝন্টু দাশ (৪৫), বাঁশখালী বইলছড়ির মনীন্দ্র শীলের ছেলে ধনা শীল (৫০), টিটু দাশ (৩০), আনোয়ারার মোহছেন আউলিয়ার প্রকৃতি রঞ্জন দেবের ছেলে লিটন দেব (৫০) এবং সীতাকুন্ড ছোট কুমিরা এলাকার চন্দ্র মোহন ভৌমিকের ছেলে অলক ভৌমিক (৩৫)।

Advertisement

নিহতদের নাম ও ঠিকানা নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. হামিদ।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি উপলক্ষে সোমবার নগরীর ১৪টি স্থানে মেজবানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে জামালখান এসএস খালেদ রোডে অবস্থিত রীমা কমিউনিটি সেন্টারে হিন্দু ও সংখ্যালঘু অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে ওই কমিউনিটি সেন্টারে মানুষকে খাওয়ানো শুরু হয়। কমিউনিটি সেন্টারের পশ্চিম গেট দিয়ে প্রবেশ ও পূর্ব গেট দিয়ে বের হওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ৭-৮ হাজার লোকের খাবারের আয়োজন করা হলেও সেখানে ১০-১৫ হাজার লোক অবস্থান করে। গেট খুলে দেয়া হলে সবাই হুড়াহুড়ি করে ঢোকার চেষ্টা করে। তাছাড়া প্রবেশ পথটি ছিল ঢালু। এ কারণে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে অনেকেই পড়ে গিয়ে পদদলিত হন। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চট্টগ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী (৭৩) মারা যান।

১৯৯৪ সাল থেকে টানা তিনবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। জনপ্রিয় এই সাবেক মেয়রের বাড়ি চট্টগ্রামের ষোলশহরে। তার বাসার গলিটি চট্টগ্রামবাসীর কাছে ‘মেয়রের গলি’ হিসেবে পরিচিত।

Advertisement

আবদুল্লাহ রাকীব/আরএআর/আইআই