বৃষ্টি হলেই বরিশালের গৌরনদী উপজেলা শহর ও টরকী বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়িতে পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং খাল ভরাটের কারণে এ দুর্দশা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। গৌরনদী প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মিলছে না পৌরবাসীদের।জরুরি ভিত্তিতে জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা পেতে পৌরবাসী মেয়রের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভুক্তোভোগীরা জানায়, বৃষ্টি হলেই পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন পশু সম্পদ কার্যালয়ের সামনে, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও পার্শ্ববর্তী কর্মকার বাড়ির সড়ক, চরগাধাতলী এলাকা, টিকাসার এলাকা, টরকী বন্দর প্রবেশের প্রধান সড়ক, বন্দর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।কারণ হিসেবে এলাকাবাসী জানায়, ড্রেনগুলো থাকে ময়লা আবর্জনায় ভর্তি। টরকী বন্দর-সাউদের খালটি পালরদী নদীর সংযোগ স্থল ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে প্রভাবশালীরা। তাই পানি সরে যেতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগে। এ খালটি ভরাট হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় পৌরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌর কাউন্সিলরের কাছে এলাকাবাসী বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি বলে জানান এলাকাবাসী। জলাবদ্ধতায় পৌরবাসীর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে পৌর মেয়র মো. হারিছুর রহমান জানান, বিগত আমলে সরকারি খাল ও ব্যক্তি মালিকানাধীন কয়েকটি পুকুর ভরাট এবং অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পৌরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ ও স্কুলের মাঠ মাটি ফেলে উচু করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পৌর মেয়র।সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর
Advertisement