খেলাধুলা

ছেলে পিয়ালের চোখে বাবাই সেরা!

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা, কিংবদন্তি বাঁ-হাতি অর্থোডক্স স্পিনার হিসেবে ধরা হয় মোহাম্মদ রফিককে। যখন কেউ ভাবতেও পারতো না কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার টেস্ট এবং ওয়ানডেতে ১০০ উইকেট নিতে পারবে, সেই সময় তিনি তা করিয়ে দেখিয়েছেন। এমনকি ব্যাটিংয়ে নামলেও ছয়-চারের ফুলঝুড়ি ছোটানোয় বেশ সুনাম ছিল তার।

Advertisement

সেই মোহাম্মদ রফিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অনেকদিন হয়েছে। এখন বেশিরভাগ সময় কাটে পরিবার ও ব্যবসা নিয়ে। তার চার সন্তানের দ্বিতীয় হচ্ছে পিয়াল হাসান। পিয়াল হোসেনের চোখে তার বাবাই সেরা। বাবার প্রতি পিয়ালের ভালবাসা ও পারিবারিক অনেক কথাই জাগো নিউজের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন দু'জন।

বাবার বোলিং ব্যাটিং সবকিছুই ভালো লাগে পিয়ালের। সে কথা বলতে গিয়ে পিয়াল বলেন, 'বাবার সব কিছুই ভাল লাগতো। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং। অনেক এনজয় করতাম। ছোট বেলায় মিস করতাম। বাবার মত কেউ হবে না হয়তো। আমার কাছে তিনিই সেরা। বাবা প্রথম ১০০ উইকেট পেয়েছে। তার কথা সবসময় লেখা থাকবে ইতিহাসে।'

বাবার অবর্তমানে পিয়ালই দেখভাল করেন পারিবারিক ব্যবসার। বাবা হিসেবে মোহাম্মদ রফিককে অমায়িক মনে করেন পিয়াল। তার মতে, 'বাবা হিসেবে তো অমায়িক। অনেক মিশে আমাদের সঙ্গে। অনেক সময় দেয় আমাদের। খেলার অবসরে ফোন দিতো। এখন আমাদের সাথেই সময় কাটায়। এখন কোন খেলা বা লিগ থাকলে সে যায়। আমি ব্যবসা দেখি। '

Advertisement

কিছুটা লাজুক স্বভাবের পিয়াল বাবার স্মৃতি রমন্থন করতে গিয়ে খুব আস্তে আস্তে বলতে থাকেন, 'বাবার খেলা ছোট বেলা থেকে দেখতাম। যখন ব্যাটিং করতো ভালো লাগতো। ছয় মারত। সবাই তাকে এক নামে চিনতো। বন্ধুরা সবাই বলত-ট্রিট দে। তোর বাবা অনেক ভাল খেলে। সে রান করেছে, উইকেট পেয়েছে কিংবা ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়ছে। সবার সঙ্গে আনন্দ করতাম।'

ছোটবেলার বাবাকে নিয়ে ঘটা মজার গল্প বলতে গিয়ে এই স্পিন লিজেন্ডের ছেলে বলেন, 'আব্বু অনেক আগে ওয়ার্ল্ড কাপে উইকেট পেয়ে একটু শয়তানি করেছিল। হাত উপরে তুলে ধরে ময়ূর ড্যান্স দিয়েছিল মনে হয়। ওইটা নিয়া বন্ধুরা খুব মজা করতো।'

ছেলে বাবাকেই সেরা ক্রিকেটার ভাবেন এবং ক্রিকেটারদের মধ্যে তাকেই পছন্দ করেন- এই কথা শোনার পরই হেসে ওঠেন মোহাম্মদ রফিক। এ নিয়ে তিনি বলেন, ' আসলে যার যার পছন্দ তার তার মতো। অথবা যার যার পরিবারের একজন পছন্দের থাকে । হতে পারে আমার ছেলে আমাকে পছন্দ করেছে।'

এখনকার সময়ে অনেক ভালো খেলোয়াড় এসেছেন, মনে করিয়ে রফিক বলেন, 'আমরা যখন খেলেছি ওই সময়ে, হতে পারে যে আমি ভালো খেলোয়াড় ছিলাম। এখন যে যুগ আসছে দেখেন তামিম, সাকিব সবাই ভালো। আবার পরে দেখা যাবে এদের টপকে আবার নতুন কেউ আসবে। এভাবেই ক্রিকেট চলবে। দিন দিন বাংলাদেশের এভাবেই উন্নতি হবে। '

Advertisement

অবসরে এখন বেশ পরিবারকে সময় দিচ্ছেন বলেও জানান মোহাম্মদ রফিক। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ পরিবারকে সময় দেয়া হয়। ব্যবসায় সময় দিতে হয়। আর অফিস বাসার পাশেই। তাই সমস্যাটা হয় না। '

এমএএন/এমএমআর/আরআইপি