এক বাড়িতে চুরি করতে গেছে চোর। বাড়িতে কেউ না থাকায় তার ঘরে ঢুকতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। ঘরে ঢুকে সোনা, টাকা-পয়সা নেয়ার আগে ফ্রিজ খোলেন তিনি। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
Advertisement
ক্ষুধার্ত থাকায় ফ্রিজ থেকে খাবার খেয়ে ঘুমিয়েও পড়েন তিনি। গৃহকর্তা তো আর সে সব জানতেন না। তিনি দিব্যি খোশ মেজাজে বাড়িতে ফিরে আসেন। তার পরই চোরের সঙ্গে মোলাকাত হয় তার। যদিও সামনের ব্যক্তি যে চোর, তা বুঝতে সময় লাগে একটু।
লাগারই তো কথা। ভদ্রলোক দেখতে পান, তার বিছানায় আরামে ঘুমাচ্ছে একটা অচেনা লোক। সামনে রাখা খাবার দাবার! চুরি করতে এসে পেট ভরিয়েই ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছে বলে মনে হয় তার।
ঘটনাটি ঘটেছে স্কটল্যান্ডের কোর্টব্রিজের এক বাড়িতে। করসওয়াল স্ট্রিটের ওপরে অবস্থিত সেই বাড়িটিতে রাতের দিকে হাজির হয় ওই চোর। ঘড়ির কাঁটা তখন এগারোটা ছুঁইছুঁই।
Advertisement
চুরি করতে এসে সোনাদানার সন্ধানে না গিয়ে প্রথমেই ফ্রিজটা খুলে ফেলে চোর। আর তাতেই ঘটে যায় ‘সর্বনাশ’। চোর একেবারে সম্মোহিত হয়ে যায় থরে থরে সাজানো রকমারি সুস্বাদু খাবার দেখে।
চোরও সব কিছু ভুলে ফ্রিজ থেকে বের করে আনে পাই। তার পর সেটাকে সজ্জিত করে চিপস দিয়ে। কিন্তু খেতে খেতেই প্রবল ঘুম পেয়ে যায় তার।
৪৬ বছরের চোর ছিল বেজায় ক্লান্ত। পেটে দানাপানি পড়তেই শীতের রাতের আয়েশ তাকে পেয়ে বসে। তার পরে সব একেবারে ব্ল্যাক আউট হওয়ার মতো! আর কোনো চেতনা ছিল না তার।
এর পর আচমকাই ঘুম ভেঙে তিনি দেখতে পান হাতে পরানো হয়ে গেছে হাতকড়া। গন্তব্য কারাগার। একেই বলে ‘আসমান সে গিরা খাজুর পে আটকা’।
Advertisement
কেএ/জেআইএম