দেশজুড়ে

মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। আহতদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

আজ সোমবার মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি সম্পন্ন করার জন্য ১২টি কমিউনিটি সেন্টারে ৮০ হাজার মানুষের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে রিমা কনভেনশন সেন্টারে দুপুর ১টার দিকে এ পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার বড়ইতলীর সনাতন দাশের ছেলে ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিপঙ্কর দাশ রাহুল (২৩), উত্তর কাট্টলীর মৃত রায়চরণ দাশের ছেলে কৃষ্ণপদ দাশ (৩৫), নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা মধ্যম নোয়াপাড়ার লাল দাশের ছেলে সুধীর দাশ (৫০), গোসাইলডাঙ্গার মনোরঞ্জন তালুকদারের ছেলে প্রদীপ তালুকদার(৫৫), রাউজান নোয়াপাড়ার আশীষ বড়ুয়া (৩৮), নগরীর জামাল খান বাই লেনের বিনোদ বিহারী দাশের ছেলে ঝন্টু দাশ (৪৫), বাঁশখালী বইলছড়ির মনীন্দ্র শীলের ছেলে ধনা শীল (৫০), টিটু দাশ (৩০), আনোয়ারার মোহছেন আউলিয়ার প্রকৃতি রঞ্জন দেবের ছেলে লিটন দেব (৫০) এবং সীতাকুন্ড ছোট কুমিরা এলাকার চন্দ্র মোহন ভৌমিকের ছেলে অলক ভৌমিক (৩৫)।

নিহতদের নাম ও ঠিকানা নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. হামিদ।

Advertisement

তিনি বলেন, পদদলিত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন। নিহতদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

জামালখানের এই ‘রিমা কনভেনশন সেন্টার’-এ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্য ধর্মালম্বীদের জন্য আলাদা মেজবানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

সোমবার সকাল থেকেই নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে মেজবান খেতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ভিড় জনস্রোতে রূপ নেয়। বিশৃঙ্গলা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হলেও, হুড়োহুড়ি করতে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী ওসমান গণি।

১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যান।

Advertisement

১৯৯৪ সাল থেকে টানা তিনবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। জনপ্রিয় এই সাবেক মেয়রের বাড়ি চট্টগ্রামের ষোলো শহরে। তার বাসার গলিটি চট্টগ্রামবাসীর কাছে ‘মেয়র গলি’ হিসেবে পরিচিত।

এআরএস/আরএআর/এমএস/আইআই