স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আবাসন ব্যবসার আড়ালে জাল নোট তৈরি করে আসছিল একটি চক্র। চক্রের সদস্যদের ব্যবহৃত যানবাহনে প্রেস লেখা স্টিকার লাগিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে জাল নোট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করে জাল টাকা ছাপিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর আদাবর এলাকায় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের জাল টাকা ও টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ সংঘবদ্ধ চক্রের মূলহোতাসহ দুইজন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে আটকের পর এমন তথ্য বেড়িয়ে আসে। আটককৃতরা হলেন চক্রের মূলহোতা হামিদুর রহমান ও সদস্য মোছা. জামিলা আক্তার মানিজা (৩০)। শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদাবর থানাধীন বায়তুল আমান আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জামিলাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১। জিজ্ঞাসাবাদের পর বায়তুন আমান হাউজিংয়ের ১৫ নং রোডের ৯০৩ নং বাসার ৬ষ্ঠ তলার ৫/এ ফ্ল্যাট থেকে হামিদুরকে টাকা তৈরি রত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বাসার বেডরুমে একটি ছোটখাটো টাকশাল এবং জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে ২৫ লাখ সাত হাজার ৫০০ টাকা মূল্যমানের জালনোট, একটি ডিসকভার ১০০ সিসি মোটরসাইকেল, টাকার নিরাপত্তা সুতাযুক্ত কাগজ পাঁচ কেজি, টাকা তৈরির ট্রেসিং কাগজ ৩০ কেজি, ল্যাপটপ একটি, প্রিন্টার চারটি, এক হাজার টাকার ছাপ যুক্ত কাগজ ১১০টি এবং জালনোট তৈরি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। মূল হোতা হামিদুর রহমান একটি আবাসন কোম্পানিতে ঠিকাদার হিসেবে কর্মরত। এর আড়ালে তিনি অবৈধভাবে জাল টাকা তৈরি এবং সরবরাহের কাজ করে আসছিল বলে জানায়। এমনকি তার পরিবারের সদস্যরাও এ ব্যাপারে কিছু জানতো না বলে সে জানায়। জাল টাকা পরিবহনের কাজে সে প্রেস লেখা সাটানো একটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করতো। আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। জেইউ/বিএ/পিআর
Advertisement