একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্য এবং যুদ্ধপরবর্তী মাইন সুইপিংয়ে অংশ নেয়া তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
Advertisement
রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ জন এবং মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী চট্টগ্রাম বন্দরের ‘মাইন সুইপিংয়ে’ অংশ নেয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের তিন সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এনডিসি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরীসহ ভারতীয় হাইকমিশন, রাশিয়ান দূতাবাস, মুক্তিযুদ্ধ ও পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে, ট্রেনিং দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না। স্বাধীনতার কয়েক মাস পরেই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ভারত। আর রাশিয়ার সমর্থন আমাদের ন্যায্য অধিকারকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এবং ভারতীয় জনগণ এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সহায়তা করেছে তা বিশ্বে বিরল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে যখন বাংলাদেশের বিজয় অবশ্যম্ভাবী তখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব তুললে সোভিয়েত ইউনিয়ন তাতে ভেটো দেয়। চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি বাহিনীর পুতে রাখা মাইন অপসারণ করে। এ সময় কয়েকজন সোভিয়েত সেনা নিহত হন।
রক্তের বিনিময়ে ভারত, রাশিয়া আর বাংলাদেশের যে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে তা কখনও শিথিল হবে না বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। মিত্রবাহিনীর অবদান স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতীয় ও রাশিয়ার নৌ সেনারা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন।
Advertisement
এমএইচএম/বিএ/জেআইএম