দেশজুড়ে

চট্টগ্রামের ৭০ পোশাক কারখানায় বিশেষ নজরদারি

ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রামের ৭০টি পোশাক কারখানাকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এসব কারখানাকে ১০টি জোনে ভাগ করে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বিজিএমইএ কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে শিল্প পুলিশ। এ ছাড়া এসব কারখানার আশপাশ ও রাস্তায় বাড়ানো হয়েছে টহল পুলিশ ও গোয়েন্দা তৎপরতা। গত শুক্রবার গার্মেন্টস মালিকদের ১০ জুলাইয়ের মধ্যে জুন মাসের বেতন এবং ১৪ জুলাই তারিখের মধ্যে বোনাস দেয়ার নির্দেশনা দেয় শ্রম মন্ত্রণালয়। মূলত এরপরই নজরদারি বাড়ানো হয়।শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, রমজানের আগে থেকেই কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। ১০ জোনে ভাগ করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অসন্তোষ মোকাবেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।সূত্র জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানার তালিকা বিজিএমইএ, সিএমপি এবং কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরে জমা দিয়েছে শিল্প পুলিশ।এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ৭০টি কারখানার পাশাপাশি ১৫ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে আগের মাসের বেতন পরিশোধ করে এমন প্রায় ১০০ কারখানায়ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আরিফুর রহমান।তিনি বলেন, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতাসহ মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন ও ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইপিজেডগুলোর বেশির ভাগ কারখানায় শ্রমিকদের বেতন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানে না তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বেতন-বোনাস নিয়ে তাদের কোনো নজরদারিও নেই।বিজিএমইএ’র  প্রথম সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, বেতন-ভাতা দিয়েছে কি-না আমি জানি না। কেউ দিতে না পারলে তখন আমাদের জানায়। এখনো পর্যন্ত কেউ জানায়নি।মূলত শ্রম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর থেকে মনিটরিং শুরু হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কারখানা মালিকদের সঙ্গে কথা বলে কারা ১০ তারিখের মধ্যে বেতন দিতে পারবে তার তালিকা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ৭০ গার্মেন্টসের মধ্যে ৫৯টি বিজিএমইএ ও চারটি বিকেএমইএর অন্তর্ভুক্ত। এসব কারখানায় ২১ হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করে।চট্টগ্রামে বিজিএমইএ আওতাধীন ৭৭২টি কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে চালু আছে ৫৫০টি। এছাড়া ইপিজেডে বর্তমানে ১৬৮টি এবং কর্ণফুলী ইপিজেডে ৪২টি কারখানা উৎপাদনে রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার শ্রমিক কর্মরত।চট্টগ্রামের দুটি ইপিজেডে ঈদের অন্তত ১০ দিন আগে বেতন-বোনাস পরিশোধের জন্য কারখানা মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেপজার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর। বিএ/পিআর

Advertisement