জানুয়ারিতেই নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট। ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য তিন প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, কানাডা ও ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিন ১৩ই জানুয়ারি নামিবিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবেন সাইফ-আফিফরা।
Advertisement
গতবারের তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এবারের লক্ষ্য সেমিফাইনাল বলেই জানিয়েছেন বোর্ড পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।
বাংলাদেশের এই যুবা দল নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসীই মনে হচ্ছে সুজনকে। তিনি বলেন, 'যেহেতু গতবারে আমরা তৃতীয় হয়েছিলাম, কাজেই এবার আমাদের প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই সেমিফাইনাল খেলা। তারপর নকআউটে কত ভাল খেলি, এটা বড় বিষয়। আমার এই দলটার উপর বিশ্বাস আছে। দল নিয়ে কোচিং স্টাফরাও গত দুই বছর বেশ কষ্ট করেছে। সব বিষয়ে বলবো, আমরা প্রস্তুত।'
তবে খালেদ মাহমুদ সুজন মানছেন, আফিফ-সাইফদের জন্য কন্ডিশনই হবে বড় বাধা। তার মতে, 'অবশ্যই অনূর্ধ্ব-১৯ এর জন্য কন্ডিশনটা একটা কঠিন ব্যাপার। ওরা একদম নতুন। জাতীয় দলের উপর যতটুক আলো থাকে, ওদের একদমই নেই। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি ওদের যতটুকু ম্যাচ খেলানো যায়। প্রস্তুত করা যায় ছেলেগুলোকে। '
Advertisement
পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, 'ইংল্যান্ডে সফর গেল । বেশ কিছু সফর গেছে এর মধ্যে। সিলেটে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছি। কিছু ম্যাচের ব্যবস্থাও করেছিলাম। উইকেটটাকে নিউজিল্যান্ডের মত কিছুটা করার চেষ্টা করেছিলাম।'
কন্ডিশন নিয়ে ভয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত কাজী অনিকদের উপর পূর্ণ আস্থাই রাখছেন এই বোর্ড পরিচালক। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, তারা প্রস্তুত। সত্যি কথা বলতে, কন্ডিশনের সাথে কতটা মানিয়ে নিতে পারবে সেটাই বড়। তবে ওদের ম্যাচ অভিজ্ঞতাটা ভাল হয়েছে। বিভিন্ন বড় দলের সাথেও খেলেছে। স্থানীয় ও বিভাগীয় দলগুলির সাথে ম্যাচ খেলেছে, এইচপির সাথেও খেলেছে।'
খেলার মধ্যে থাকায় সুজনের আত্মবিশ্বাসটা বেশি। তিনি বলেন, 'ছেলেগুলো কিন্তু পারফরমও করেছে। অনেকেই ঢাকার প্রিমিয়ার লিগ খেলেছে বা বিপিএলে আসরেও খেলেছে। একটু অভিজ্ঞতা তো কিছু ছেলের মধ্যে আছে। ভাল ব্যাপার হলো, কিছু ছেলে শেষ বিপিএলে খেলেছে। আফিফ খেললো, কাজী অনিক খেললো। বড় কথা আমরা প্রস্তুত, বাকিটা কন্ডিশনের উপর। আমার বিশ্বাস, ছেলেরা ভালো করবে।'
এমএএন/এমএমআর/পিআর
Advertisement