পর্তুগালে যথাযথভাবে উদযাপন করা হয়েছে ৪৬তম মহান বিজয় দিবস। দিবসটি নানা আয়োজনে পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন। ৭১ এর শহীদদের স্মরণে বিজয় দিবসে এবারের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে জাতিসংঘের ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে এবারের আয়োজনে ছিল ভিন্নমাত্রায়।
Advertisement
পর্তুগালের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের কনস্যুলার কর্মকর্তা মো. নুরউদ্দিন। দূতালয় প্রধান হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী।
দুপুর ১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় বিশেষ আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন। এটি পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রথম কোনো আনন্দ শোভাযাত্রা।
দূতাবাসের সামনে থেকে শুরু হয়ে আনন্দ শোভাযাত্রাটি লিসবনের এন্তোনিও সালদানহা রোড প্রদক্ষিণ করে আবার দূতাবাস প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। আনন্দ শোভাযাত্রাটিতে পর্তুগালের বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, দূতাবাস কর্মকর্তারা ছাড়াও পর্তুগালে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি শিশুরা অংশগ্রহণ করে।
Advertisement
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় প্রথম পর্বের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন পর্তুগালে শিক্ষানবিশ বাংলাদেশি ছাত্রী তামান্না ইসলাম, এবং সাজ্জাদ হোসেন।
বিজয় দিবসের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের বাণী পড়ে শোনানো হয়। বাণী পড়ে শোনান হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ, মো. নুরউদ্দিন, সামিউল হক, মো. সাহাবউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিয়া ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, ইমরান হোসাইন ভূইয়া, দেলোয়ার হোসাইন, আনসার আলী প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় এবারের বিজয় দিবসটি আমাদের কাছে বাড়তি আনন্দের। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একটি জাতি-জনগোষ্ঠীর মুক্তির কালজয়ী সৃষ্টি, মহাকাব্য। শুধু বাঙালির জন্যই নয়, বিশ্ব মানবতার জন্যও অবিস্মরণীয়, অনুকরণীয় মূল্যবান দলিল বা সম্পদ।
অনুষ্ঠানে সমাপনী পর্বে দেশাত্মবোধক গানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন মহিবুর রহমান, রাখিঁ চন্দা রায় ও নাঈম হাসান পাভেল। নৃত্য পরিবেশন করেন শিশুশিল্পী আহনাফ এবং শিশুশিল্পী মাহের কবিতা আবৃত্তি করে সবাইকে মুগ্ধ করেন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ও কমিউনিটির অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন আবুল বাসার বাদশা, আবুল কালাম আজাদ, দেলোয়ার হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন, পনির আজমল, সোহরাব হোসেন সুমন, ইকবাল হোসেন, রেজাউল বাসেত, রনি হোসাইন, শিপলু আহমেদ, নয়ন রায়, মহিবুর রহমান প্রমুখ।
এমআরএম/আরআইপি