ছেলেবেলায় ‘আইসক্রিম’ ডাক শুনে ছুটে যাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আট আনা বা এক টাকায় আইসক্রিম খাওয়ার স্মৃতি এখনো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু শৈশব-কৈশোরে যে আইসক্রিম খেয়েছেন; তা হয়তো সেগারিন ফ্লেভার কিংবা মালাই আইসক্রিম। তবে এক মিনিটে ভিন্ন স্বাদের মজাদার আইসক্রিম খেতে পারেন এখনও।
Advertisement
তার জন্য বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরেই তৈরি হয় বিখ্যাত এ আইসক্রিম। এর নাম ‘ওয়ান মিনিট আইসক্রিম’। মাত্র এক মিনিটেই তৈরি হয় বলে এ নামেই নামকরণ করা হয়। শুধু আইসক্রিম নয়, এখানকার মিষ্টিও চমৎকার এবং সুস্বাদু।
আইসক্রিমটি নরম এবং ভিন্ন স্বাদের। চাঁদপুর সদরের নতুন বাজার প্রেসক্লাব রোডে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠান। তাৎক্ষণিকভাবেই তৈরি হয় এ আইসক্রিম। বিদ্যুতের সাহায্যে মাত্র এক মিনিট সময় ব্যয় হয়। এর জন্য রয়েছে সয়ংক্রিয় মেশিন। যা ভারত থেকে আনা হয়েছে।
প্রায় একশ’ বছরের পুরনো সম্পদ সাহা প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান এখন দেখাশোনা করেন তার ছেলে সম্পক সাহা। প্রতিকাপ আইসক্রিমের দাম চল্লিশ টাকা। এ ব্যাপারে সম্পক সাহা জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাবার স্মৃতি ধরে রাখতেই মিষ্টির পাশাপাশি আইসক্রিমও চালু রেখেছি। বর্তমানে শুধু মেশিনটা চেঞ্জ করেছি। ভারত থেকে নতুন মেশিন এনে বসিয়েছি। মানুষ আগের মতোই পছন্দ করে ওয়ান মিনিট আইসক্রিম।’
Advertisement
চাঁদপুরে ঘুরতে এসে আইসক্রিম খেয়ে মাহাবুর আলম সোহাগ বলেন, ‘বাজারে অনেক ধরনের চাকচিক্যময় প্যাকেট বা বক্সে মোড়ানো আইসক্রিম পাওয়া যায়। তার চেয়েও ভিন্ন স্বাদের ওয়ান মিনিট আইসক্রিম। এককথায় বলতে গেলে, গরম গরম আইসক্রিম খাওয়ার মজাই আলাদা। চোখের সামনে তৈরি, সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া অনেক আনন্দের।’
এসইউ/পিআর