দেশজুড়ে

কুড়িগ্রাম ছিটমহলে ভারতীয় নাগরিক হতে চায় ৭ পরিবার

কুড়িগ্রাম জেলার ১২টি ছিটমহলে চতুর্থ দিনের গণনা পর্যন্ত ৫টি পরিবারের ৪৪ জন সদস্য ভারতীয় নাগরিক হতে নিবন্ধন করেছেন। এ নিয়ে ৪ দিনে ৭ পরিবারের ৫১ জন সদস্য ভারতীয় নাগরিক হতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন। অপরদিকে জনগণনার ৪র্থ দিনে ১১৫৮ জন সদস্যের ফরম পূরণ করা হয়। এরমধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলায় ৯৭২ জন এবং ভুরুঙ্গামারীতে ১৮৬ জন। চারদিনে মোট জনগণনা সম্পন্ন করা হল ৪৫০১ জনের। ভারতীয় নাগরিক হতে ইচ্ছুক ৫টি পরিবারের প্রধানরা হলেন, কালিরহাট পূর্বপাড়ার মিজানুর রহমান (৩৬), সরোয়ার আলম (২৮) ও নজরুল ইসলাম (৪৬)। বোর্ডের হাট এলাকার আব্দুল আজিজ (৮৪) ও খলিলুর রহমানের (৬৪) পরিবার। চতুর্থ দিন বিকেল সোয়া ৫টায় বাংলাদেশ ও ভারতের ১৪ সদস্যের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা যৌথভাবে ফুলবাড়ীরর দাসিয়ার ছড়া ছিটমহল পরিদর্শন করেন। ভারতের ৯ সদস্যের দলে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথান। বাংলাদেশের ৫ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।ভারতীয় দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সেক্রেটারি মি. মাকওয়ানা, রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ড. চন্দ্র মৌলি, রাজশাহীর ডেপুটি হাই কমিশনার সন্দিপ মিত্র, ভারতীয় দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি নিনাদ দেশপান্ডেসহ আরো ৪ কর্মকর্তা। বাংলাদেশ দলের অন্যান্যরা হলেন, যুগ্ম সচিব শফিকুর রহমান, মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) আরিফুল ইসলাম, উপ সচিব রুখসানা হাসিনা ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন। এছাড়াও ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসির উদ্দিন মাহমুদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল মারুফ এ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। প্রতিনিধি দল বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া ছিটমহলে অবস্থান করেন। তারা দাসিয়ার ছড়ায় ৭টি বুথে যৌথ জরিপ কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এর আগে তারা দুপুরে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ছিটমহলের উন্নয়ন, জনগণনা, ভূমি ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।বৃহস্পতিবার ৭টি বুথের মধ্যে জন্মসূত্রে ২০১১ সালের পর পাওয়া যায় ৫৮ জন, এসময় মৃত্যুবরণ করে ১১জন, বৈবাহিক সূত্রে ২৭ জন, পরিবার সংখ্যা ২২০টি, ভারতীয় নাগরিক হতে নিবন্ধন করেছে ৪৪ জন। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এজেএম এরশাদ আহসান হাবীব জাগো নিউজকে জানান, এ উপজেলায় ১০টি ছিটমহল রয়েছে। বৃহস্পতিবার জনগণনার ৪র্থ দিনে মোট গণনা করা হয় ১৮৬ জন। এখানে ৩টি বুথ ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য পূরণ করা হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য মতে, জন্মসূত্রে ২০১১ সালের পর পাওয়া যায় ১৫ জন, এসময় মৃত্যুবরণ নাই, বৈবাহিক সূত্রে ০৯ জন, পরিবার সংখ্যা ৪৪টি, এখানে ভারতীয় নাগরিক হতে কেউ নিবন্ধন করেনি। নাজমুল হোসেন/এমজেড/এমএস

Advertisement