প্রবাস

মালয়েশিয়া দূতাবাসের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই-কমিশনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় সংগীতের সুরে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সূচনা করা হয়। লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত মুহ: শহীদুল ইসলাম।

Advertisement

পতাকা উওোলন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন ভুইয়া।

এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় কুয়ালালামপুর রেনিসন্স হোটেলের হল রুমে শুরু হয় বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি চিফ অব প্রটোকল কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ জাওয়াই ও আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল তান।

রাষ্ট্রদূত মুহ: শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কমার্শিয়াল উইং ধনন্জয় কুমার দাস এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি তাহমিনা ইয়াছমিন।

Advertisement

সভায় আবু জাফর আব্দুল্লাহর ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’কবিতাটি আবৃত্তি করেন মিনিস্টার রইস হাসান সরোয়ার। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই-কমিশনার মুহা. শহিদুল ইসলাম বলেন, মহান বিজয় দিবস জাতীয় জীবনে এক অনন্য গৌরবময় দিন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম ত্যাগের কথা চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আজ কৃতজ্ঞ জাতি বেদনায় স্মরণ করছে দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে প্রাণ উৎসর্গ করা বীর সন্তানদের। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় অর্জনের ইতিহাস শুধু ১৯৭১ সালে সীমাবদ্ধ নয়। জাতির দীর্ঘ সংগ্রাম আর ত্যাগের সুমহান ফসল এ বিজয়।’

হাই-কমিশনার বিজয় দিবসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। আলোচনা সভা শেষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও কমিউনিটির নেতারা।

এমআরএম/আরআইপি

Advertisement