উপমহাদেশের দুই বৈরি রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের দুই রাষ্ট্রপ্রধান শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। রাশিয়ায় সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের মধ্যেই বৈঠকে বসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। প্রায় এক বছর বাদে হতে যাচ্ছে এই বৈঠক। এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) জম্মু ও কাশ্মীর বারামুলায় নিয়ন্ত্রন রেখায় পাক সেনার গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছে ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)-এর এক জওয়ান। কয়েকদিন আগেই পাক গোলায় আরও এক বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। সীমান্তে এই উত্তাপের মধ্যেই বৈঠকে বসছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। মুম্বাই হামলার অন্যতম চক্রী জাকিউর রহমান লকভি ইস্যুতে ভারত-পাক চাপানউতোর চলছিলই। এরইমধ্যে সীমান্তে পাক হানায় জওয়ানের মৃত্যু দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে। এই আবহের মধ্যেই ফের আলোচনার টেবিলে মুখোমুখি হতে চলেছেন মোদি ও শরিফ। গত এক বছরে লকভি ইস্যু ছাড়াও সীমান্তে গুলি বিনিময়, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে ইসলামাবাদের মনোভাব প্রভৃতি বিষয়ে ভারত-পাক সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি লকভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জাতিসংঘে ভারত প্রস্তাব আনে। কিন্তু চীনের বাধায় তা আটকে চায়। লকভি ইস্যুতে গতকালই চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং-এর সঙ্গে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। জাতিসঙ্ঘে লকভি ইস্যুতে চীন যেভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে বিরক্ত ভারত। সূত্রের দাবি, চীনা প্রেসিডেন্টকে ভারতের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারের বৈঠকে মোদী সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদের নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা শরিফকে জানাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের হালহকিকত এবং তার ভবিষ্যত দিকনির্দেশিকা সম্পর্কেও দুই নেতার আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শরিফ অবশ্য আগামীকালের বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হবে, সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বৈঠকের পর এ বিষয়ে জানানো হবে। ভারত-পাক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগামীকালের বৈঠক একটি বড়সড় পদক্ষেপ কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরও এড়িয়ে গিয়েছেন শরিফ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে গিয়ে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন মোদী। পরে সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমারে ভারতীয় বাহিনীর জঙ্গি দমন অভিযান ঘিরে ভারত-পাক বাকযুদ্ধ চরমে ওঠে।এসআরজে
Advertisement