লালমনিহাটে স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
Advertisement
শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাফুজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে জেলা রেলওয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল অফিস থেকে জেলা বিএনপি একটি বিজয় র্যালি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধের উদ্দেশে রওনা হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা র্যালিতে বাধা দেন। এরপরও বিএনপির নেতাকর্মীরা র্যালি নিয়ে সড়কে উঠা মাত্র যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বিজয় র্যালিতে বাধা দেয়। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। শুরু হয় উভয় পক্ষের ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া।
Advertisement
খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে প্রতিদিনের সংবাদের লালমনিরহাট প্রতিনিধি জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সুশান্ত কুমার সরকার, এসআই আলমগীরসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেলা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপ্রিয় বিজয় র্যালিতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির এক কর্মী প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে ছেড়েছে। ওই কর্মীকে খুঁজে না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে মিছিল করতে বারণ করা হয়েছিল। এরপরও যখন তারা মিছিল বের করে তখন তাদের সঙ্গে আলোচনায় গেলে তারা উল্টো হামলা করেছে। এতে তাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
রবিউল হাসান/এফএ/এমএস
Advertisement