‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার, সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।’ আজ (শনিবার) সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন সংলগ্ন মাঠে বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত ‘বিজয়ের গান’ মঞ্চে দেশাত্মবোধক এ গানটির সঙ্গে কয়েকজন তরুণীর নৃত্যু পরিবেশনা চলছিল। গানটির শেষ দিকে কয়েকজন তরুণ লাল সবুজের পতাকা মেলে ধরার সাথে সাথে উপস্থিত দর্শকরা করতালিতে চারদিক মুখরিত করে তুলেন।
Advertisement
নৃত্যু পরিবেশনার পর মঞ্চে গান গাইতে আসেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা শাহিন সামাদ। গান শেষে শুরু হয় কবিতা আবৃত্তি। মঞ্চের সামনে দর্শকের জন্য রাখা চেয়ারগুলো তখনও পুরোপুরি ভরেনি। তবে বিজয় দিবসের আনন্দ উৎসবের ছোঁয়া সর্বত্র চোখে পড়ে।
বিজয় দিবসের আনন্দ উৎসবে শরিক হতে খুব সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে অসংখ্য নারী, পুরুষ ও শিশুদের ছুটে আসতে দেখা যায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজয়ের গান, মঞ্চ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর মেশিন বসানো হয়েছে।
সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্র্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্পটে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। টিএসসিতে কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বেলা যত গড়াবে ততই ভিড় বাড়তে থাকবে, দুপুরের পর থেকে জনসমুদ্রে পরিণত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
Advertisement
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্পটে ছোট বড় পতাকা হাতে নিয়ে ঘুরছেন বিক্রেতারা। এছাড়া বিভিন্ন খাবার সামগ্রীর পসরাও বসেছে। বিজয় দিবসের আনন্দ উৎসবে যোগ দিতে যারাই আসছেন তারা ঘুরে ফিরে দেখছেন, শিশুদের পতাকা কিনে দিচ্ছেন, খাবার দাবার কিনে খাচ্ছেন। চার দিকে উৎসবমুখর এ পরিবেশ বিজয়ের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
এমইউ/এআরএস/এমএস