দেশজুড়ে

বিজয়ের স্বার্থকতা এখানেই

ফাহিম, ফাতিম ও তানভীর- তিন যমজ ভাই। কাক ডাকা ভোরে শীতে জবুথবু। চোখে মুখে আনন্দের বিচ্চুরণ। এ আনন্দ মুক্তির, এ আনন্দ বিজয়ের। এ চিত্র সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটের।

Advertisement

শনিবার সকাল ৬টায় বাবাকে সঙ্গে নিয়ে জয়পুরহাট স্মৃতিসৌধে এসেছে তারা তিন ভাই। জমজ হওয়ায় চেহারায় যথেষ্ট মিল রয়েছে তাদের, পোশাকও পড়েছে একই রকম। এ কারণে তাদের দিকে নজর পড়ে খুব সহজেই।

বাবা আসাদুজ্জামান বলেন, আমার এ তিন ছেলে জমজ। তাদের বয়স ৭ বছর, দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এদের মিল এতো যে বাসায় একটি কমলা থাকলে সেটা তারা ভাগ করে খাবে। তিনি বলেন, আমি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। বাসা এ স্মৃতিসৌধের পাশেই।

স্মৃতিসৌধে আসা প্রসঙ্গে ফাহিমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনেছে বাবার কাছে। স্কুলশিক্ষকরাও এ বিষয়ে অনেক কিছু জানিয়েছেন তাদের। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। তাই স্মৃতিসৌধে এসেছে ফুল দিতে।

Advertisement

বাবা আসাদুজ্জামান বলেন, পরবর্তী প্রজন্মকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তি দিতেই জীবন উৎসর্গ করেছেন ৩০ লাখ মানুষ। বিজয়ের আনন্দ মূলত শিশুদের কাছে বেশি। সেটা দেখে খুব ভাল লাগে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগে হয়ত কোনো শিশুর এমন আনন্দের চিন্তা করার অবকাশ ছিল না।

স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা নিয়ে মাঠের এক প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছিল সুমাইয়া। ছবি নিতে চাইলে বলেন, ‘হ্যাঁ তোলেন, আজ খুশির দিন ছবিতো তোলবেনই।

এতো সকালে কেন আসা জানাতে চাইলে সুমাইয়া জানায়, সারা রাত ঘুম হয়নি এখানে আসবো বলে। আজ আমাদের বিজয় দিবস, আজ খুশির দিন। সুমাইয়ার সঙ্গে এসেছে তার সহপাঠি তিন্নি। তারা দু’জনেই দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। একই অনুভূতি তারও।

Advertisement

সূর্য ওঠার আগেই ফাহিম, সুমাইয়ার মতো অনেক শিশু এসেছে শ্রদ্ধা জানতে। আর তাদের এমন উৎসাহ ও আনন্দ দেখে এটাকে বিজয়ের আনন্দ বলছিলেন পাস থেকে একজন বৃদ্ধ।

এমএ/এমএমজেড/এমএস