ত্বকের যত্নে আমরা নানাকিছু ব্যবহার করে থাকি। হরেকরকম প্রসাধনীর আবার হরেকরকম নাম। কোনোটি চুলের জন্য, কোনোটি হাত-পায়ের, কোনোটি আবার মুখের জন্য। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন অন্য কোনো প্রসাধনী মুখে না লাগে! মুখের জন্য নির্ধারিত প্রসাধনীই মুখে ব্যবহার করুন।
Advertisement
মাথায় শ্যাম্পু লাগিয়ে ফেনা করে সেই দিয়েই যদি মুখ ধোয়ার অভ্যাস থাকে তবে পালটে ফেলুন। শ্যাম্পুতে যে কেমিক্যাল থাকে তা মুখের ত্বকের উপযোগী নয়। ত্বক খসখসে হয়ে যায়।
আরও পড়ুন : ভিটামিন ই ক্যাপসুলের অজানা ব্যবহার
বেকিং সোডা দিয়ে কোনো স্ক্রাব মুখের ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এই পদার্থটি মুখের ময়েশ্চার শুষে নেয়।
Advertisement
হেয়ার কালার করার সময়ে খুব সতর্ক থাকবেন। এই রং মুখে লাগলে, সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলবেন ময়েশ্চাইরাজারে ভেজানো তুলো দিয়ে। যদি ভ্রু রং করতে হয় তবে তা ভেজিটেবিল ডাই দিয়ে করতে হবে, সাধারণ ডাই বা হেয়ার কালার দিয়ে নয়।
মেয়োনিজ হেয়ার প্যাকে ব্যবহার করা যায় কিন্তু মুখের জন্য কখনওই নয়। হেয়ার প্যাক লাগাতে গিয়ে যদি মুখে লেগেও যায় তবে সাবধানে মুছে নেবেন।
বডি লোশন শুধু ‘বডি’তেই মাখার জন্য, মুখের জন্য নয়। মুখের ত্বক শরীরের অন্যান্য ত্বকের তুলনায় অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়। তাই মুখে শুধুই মুখের জন্য নির্দিষ্ট প্রোডাক্টই ব্যবহার করবেন।
হেয়ারস্টাইল সেট করতে অনেকেই ল্যাকার বা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করেন। অনেকে আবার এই স্প্রেগুলি মেকআপের উপরে ব্যবহার করেন মেকআপ স্টে করানোর জন্য। এই অভ্যাসটি মুখের ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ।
Advertisement
আরও পড়ুন : শীতে পায়ের যত্ন
নেল-পলিশ নখে পরার জন্য, এগুলি দিয়ে কপালে বা মুখে কোনও রকম পেইন্ট ঘুণাক্ষরেও করবেন না। ত্বক শুকনো এবং খসখসে হয় যায়।
হেয়ার সেরাম চুলে লাগাবেন কিন্তু মুখে যেন কখনওই না লেগে যায় কারণ এতে যে কেমিক্যাল থাকে তা থেকে ত্বকে র্যাশ বা চুলকানি হতে পারে।
এইচএন/এমএস