স্টিভেন স্মিথ যেন এক রান মেশিন। দলের বিপদ আপদে বরাবরই চওড়া হয়ে উঠে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের ব্যাট। অ্যাশেজের পার্থ টেস্টে আরও একবার দেখা গেল 'স্মিথ মাস্টারক্লাস'।
Advertisement
অজি অধিনায়কের হার না মানা ৯২ রানের ইনিংসে ভর করে এই টেস্টেও আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৩ রান। ইংল্যান্ডের থেকে এখন তারা পিছিয়ে ২০০ রানে।
ডেভিড মালান আর জনি বেয়ারস্টোর জোড়া সেঞ্চুরির পরও ইংল্যান্ডের ইনিংস খুব বেশি বড় হয়নি। অজি পেসারদের তোপে প্রথম ইনিংসে ৪০৩ রানের বেশি এগোতে পারেননি ক্রিকেটের জনকরা।
জবাব দিতে নেমে একটা সময় কিছুটা বিপদেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। ৫৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার-ডেভিড ওয়ার্নার আর ক্যামেরুন বেনক্রফট সাজঘরে ফিরে যান। তবে স্মিথ ঠিকই নিজের খেলাটা খেলে যাচ্ছেন। মাঝে ফিফটি করে আউট হয়েছেন উসমান খাজা।
Advertisement
ওয়ার্নার আর বেনক্রফট মিলে শুরুটা খুব একটা খারাপ করেননি। ৪৪ রানের জুটি গড়ে ওয়ার্নার আউট হয়েছেন ওভারটনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। অজি ওপেনার তখন ২২ রানে। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বেনক্রফটও। ২৫ রান করে ওভারটনের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
এরপর দলের বিপদ সামলান স্মিথ আর খাজা মিলে। তৃতীয় উইকেটে তারা গড়েন ১২৪ রানের জুটি। কাটায় কাটায় ফিফটি পূরণ করা খাজাকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান ক্রিস ওকস। ১২৩ বলের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
শন মার্শকে নিয়ে দিনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দিয়েছেন স্মিথ। ১২২ বল খেলে ১৪ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৯২ রানে অপরাজিত আছেন অজি অধিনায়ক। সঙ্গে মার্শ ব্যাট করছেন ৭ রান নিয়ে।
এর আগে, ৪ উইকেটে ৩০৫ রান নিয়ে খেলতে নামা ইংল্যান্ড প্রত্যাশামত পুঁজি পায়নি। ১১০ রানে অপরাজিত ডেভিড মালান তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুুরির ইনিংসটি টেনে নিয়েছেন ১৪০ রান পর্যন্ত। ২২৭ বলের দুর্দান্ত ইনিংসটিতে ১৯টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটসম্যান।
Advertisement
পঞ্চম উইকেটে বেয়ারস্টোকে ২৩৭ রানের এক জুটি গড়েন মালান। সেঞ্চুরি পেয়েছেন বেয়ারস্টোও। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ২১৫ বলে ১৮ বাউন্ডারিতে ১১৯ রান করে আউট হন।
মালান আর বেয়ারস্টোর জুটিটি ভাঙার পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসও। মাত্র ৩৫ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় সফরকারিরা।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৯১ রানে ৪টি উইকেট নেন পেসার মিচেল স্টার্ক। জশ হ্যাজলউড ৩টি আর প্যাট কামিন্স নেন ২টি উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন স্পিনার নাথান লায়ন।
এমএমআর/এমএস