গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে মা ক্যাঙ্গারুর থলের ভেতর থেকে কখনও চোখ-মুখ, কখনও আবার পা বের করে খেলা করছে সদ্য প্রসূত ক্যাঙ্গারু শাবকটি।
Advertisement
দর্শনার্থীরা দূর থেকে এ দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। ক্যাঙ্গারু শাবকের দিকে কর্তৃপক্ষও বাড়তি নজর রাখছেন। বাড়তি যত্নও নেয়া হচ্ছে। আরও মাস দুই তিন পর মায়ের থলে থেকে শাবকটি বের হয়ে সবুজ ঘাসে বিচরণ করবে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাফারি পার্কে একমাত্র মা ক্যাঙ্গারু দ্বিতীয়বারের মতো বাচ্চা প্রসব করেছে মাস চার আগে। বাচ্চাটি থলের মধ্যেই অবস্থান করছিল। গতকাল বুধবার দুপুরে থলের ভেতর থেকে চোখ-মুখ ও হাত-পা বের করে খেলা করছিল শাবকটি। মা ও বাচ্চা উভয়ই ভালো আছে। এ বাচ্চাটিসহ পার্কে মোট ক্যাঙ্গারুর সংখ্যা তিনটিতে দাঁড়াল। বয়স বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে মা ক্যাঙ্গারুর সঙ্গী অল্পদিন আগে মারা যায়।
প্রসঙ্গত, ক্যাঙ্গারু বাচ্চা প্রসব প্রক্রিয়াটা ভিন্ন। অন্য প্রাণির চেয়ে একেবারে আলাদা। ক্যাঙ্গারুর গর্ভকালীন ৩০ থেকে ৩৬ দিন। এ সময়ে বাচ্চা প্রসবের পর মা ক্যাঙ্গারু বুকের নিচের অংশের থলের মধ্যে সাত মাস তার শাবককে রেখে দুধ পান করায়। জন্মের পর ক্যাঙ্গারু শাবক টিকটিকির চেয়ে একটু বড় হয়। থলের মধ্যেই সে বড় হতে থাকে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাঙ্গারুশালায় বাচ্চাকে বুকের থলেতে নিয়ে মা ক্যাঙ্গারু রোদ পোহাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর বাচ্চাটি থলে থেকে মুখ বের করে চারপাশ দেখছে। মাঝে মাঝে বাচ্চাটি থলে থেকে সম্পূর্ণ বের হয়ে মায়ের পাশে শুয়ে থেকে আবার থলিতে ঢুকে যাচ্ছে।
এর আগে ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রেড ক্যাঙ্গারু জাতের নারী ও পুরুষকে সাফারি পার্কে আনা হয়। গত বছরে মা ক্যাঙ্গারু একটি বাচ্চা প্রসব করে।
পার্কের দায়িত্বে থাকা রেঞ্জ কর্মকতা মো. মোতালেব হোসেন বলেন, ক্যাঙ্গারু বিদেশি পরিবেশের প্রাণি। এখানে প্রাণিগুলোকে বিশেষ পরিবেশে বড় করেছি। এ পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিয়েছে বলেই গত বছর ও এ বছর বাচ্চা প্রসব করেছে মা ক্যাঙ্গারুটি। কিছুদিন পর বাচ্চাটিকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলে পার্কে দর্শনার্থীর কাছে এটি বিনোদনের নতুন মাত্রা যোগ করবে।
মোঃ আমিনুল ইসলাম/এএম/আইআই
Advertisement