আবাসিক এলাকা নিরাপদ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) অপরাগতা ও ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পৃথক আরেক রুলে রিটকারীর ক্ষতিগ্রস্থ শিশুর চিকিৎসায় কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
Advertisement
পাশাপাশি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট এলাকার (ঝিগাতলায়) খোলা বৈদ্যুতিক তার নিরাপদ করণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে সরকারি তহবিল থেকে ওই শিশুর চিকিৎসা ব্যয়ভার বহনের জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে দায়ের করা এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান, প্রভাষ চন্দ্র দাস, মিজানুর রহমান ও বিবি ফাতেমা মুন্নী।
Advertisement
পরে মুনতাসীর মাহমুদ রহমান বলেন, আবাসিক এলাকার বাসা-বাড়ির অনেক কাছ দিয়ে হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের বিষয়ে রাজধানীর জিগাতলার এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রিটকারীর সাত বছরের শিশুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আমরা বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করি। আদালত আবেদন শুনানির পর এ বিষয়ে দুটি পৃথক রুল জারি করেন।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কেএম রেজাউল ফিরোজ মিন্টুর সাত বছরের শিশু রাফসান নূর বাসার বারান্দার কাছ দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টের খোলা বৈদ্যুতিক তারে বসা পাখি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এতে তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে যায়।
পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকদের সেবায় প্রাথমিকভাবে শিশুটি আশংকামুক্ত হলেও এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ হয়। প্রকাশিত সংবাদগুলো সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন শিশুর বাবা কেএম রেজাউল ফিরোজ মিন্টু। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত উক্ত রুল জারি করেন।
এফএইচ/এএইচ/আইআই
Advertisement