মালয়েশিয়ায় বাংলাশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুকে সেরি মোস্তাফার আলী জরুরি বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রদূতের অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীদের দূতাবাসের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ডিজি ইমিগ্রেশন।
Advertisement
ডিজি ইমিগ্রেশন জানান, চলমান রি-হিয়ারিংয়ের আওতায় মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি নিবন্ধিত হওয়ায় প্রশংসা করেছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। দ্রুত নিবন্ধিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া হিউম্যান ট্রাফিকিং মানবপাচার রোধে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার কথাও উঠে আসে বৈঠকে। ডিজি মহাপরিচালক দাতুকে সেরি মোস্তাফার আলী দূতাবাসের কন্স্যুলার সেবা পরিদর্শন করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির, দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম, মিনিস্টার রইস হাসান সরোয়ার, ফার্স্ট সেক্রেটারি এমএসকে শাহীন, কমার্শিয়াল উইং প্রধান ধনন্জয় কুমার দাস, ফার্স্ট সেক্রেটারি শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, প্রথম সচিব পাসপোর্ট ও ভিসা মো. মশিউর রহমান তালুকদার, ফার্স্ট সেক্রেটারি তাহমিনা ইয়াছমিন, ২য় সচিব শ্রম মো. ফরিদ আহমদসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের হাই-কমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাজের সম্ভাবনা ও সমস্যার বিষয়ে এবং দুদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে এসেছেন। আজকের এই বৈঠক তার বাস্তব প্রমাণ। ডিজি ইমিগ্রেশন নিজে এসেছেন দূতাবাসে। তারাও চান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে বসবাস না করে।
Advertisement
রাষ্ট্রদূত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের মিশন সবসময় শ্রমিকবান্ধব। ই-কার্ড ও মাই-ইজির মাধ্যমে যারা নিবন্ধিত হয়েছেন যা সর্বমোট আবেদনের যথাক্রমে ৫৭ শতাংশ এবং ৮৯ শতাংশ বাংলাদেশিদের এই অভূতপূর্ব সাড়ার উচ্ছসিত প্রশংসা করেন এ কর্মকর্তা এবং উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। শ্রমিকদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক প্রদেশে দেয়া হচ্ছে কন্স্যুলার সেবা। যারা বৈধ হওয়ার জন্য রি-হিয়ারিং অথবা ই-কার্ড করেছেন তাদের সঠিক কাগজপত্র নিয়ে দূতাবাসে আসলে দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট অথবা কন্স্যুলার সেবা দিতে সব কর্মকর্তা প্রস্তুত রয়েছেন।
হাই কমিশনার বলেন, চলতি বছরের জুন থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ২৬৪টি। এ সময়ের মধ্যে ৯৫ হাজার ৪৬২টি পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়া হয়েছে।
দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দেশটির সরকার বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে জিটুজি কর্মী নিয়োগ এবং অবৈধদের বৈধ করার যে সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক নিবন্ধিত হয়েছেন। কিন্তু বৈধ হওয়ার জন্য অনেকে দূতাবাসের পরামর্শ না নিয়ে দালালদের খপ্পরে পড়েছেন তারাই সমস্যায় পড়ছেন। অনেকেই হাইকমিশন পর্যন্ত আসতে চান না। যারা এখনও নিবন্ধিত হননি দূতাবাসের পরামর্শে বৈধ কোম্পানির মাধ্যমে মাই-ইজি, বক্তি-মেঘা ও ইমানের মাধ্যমে দ্রুত নিবন্ধন শেষ করার আহ্বান জানান তিনি।
এমআরএম/আইআই
Advertisement