আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে রাজপথে নেমে এসেছে সর্বস্তরের মানুষ। স্লোগানমুখর হয়ে উঠেছে রাজপথ। বিশেষ করে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনস্রোতে রূপান্তরিত হয়েছে।
Advertisement
রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগ।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। সেই ঘৃণ্য ছক অনুযায়ী মহান বিজয়ের দুদিন আগে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিকদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
পাকিস্তানি ঘাতকদের এ বর্বর হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করে রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী। আজ জাতির ইতিহাসে এক বেদনাঘন দিন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে লাল-সবুজের সাজে সেজেছে বেশিরভাগ মানুষ। মা সন্তানকে পরিয়ে দিচ্ছেন ব্যান্ডানা।
Advertisement
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় প্রতীকী বধ্যভূমি বানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। কেউ কেউ কাঁধে বয়ে নিয়ে ঘুরে ঘুরে লাল-সবুজের পতাকা বিক্রি করছেন। সবুজ ঘাসের বুকে পরিবেশিত হচ্ছে পথ নাটক। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ।
পলাতক দেশদ্রোহীদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবিতে স্লোগানমুখর রাজধানী। মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ তৈরি করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘৃণিত রাজাকারদের প্রতিকৃতি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, চলছে আলোচনা সভা এবং শ্রদ্ধা নিবেদন। বধ্যভূমির ঘাসের ওপর ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে শহীদদের আলোকচিত্র।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে আসা রুহিয়া তাসনিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর আমাদের বেদনার দিন। বিজয়ের প্রাক্কালে এমন একটি দিন অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। আমরা হারিয়েছি আমাদের জাতির বিবেকদের। আমাদের বুদ্ধিহীন করতেই পাকিস্তানিরা এমন ষড়যন্ত্র করেছে।’
এসইউ/আরআইপি
Advertisement