ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে পড়া শুনছিল শিক্ষার্থীরা। তাদেরই একজন প্রিয় শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছিলেন। প্রোজেক্টর স্ক্রিনে তখন একটার পর একটা চ্যাপ্টার দেখানো হচ্ছে।
Advertisement
হঠাৎ করেই নীরব হয়ে যায় ক্লাসের সবাই। শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে তখন আতঙ্ক ভর করেছে। ক্লাস জুড়ে নীরবতা। পিন পড়লেও যেন শব্দ শোনা যাচ্ছে!
প্রোজেক্টর স্ত্রিনে ততক্ষণে ভেসে উঠেছে কয়েকটি লাইন। আর সেটা দেখেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা ক্লাসে। শিক্ষক লিখেছেন, চুপ করে পড়ো ... আমি শিশুদের হত্যা করতে চাই, কিন্তু আমি এক জন খ্রিস্টান এবং কখনও কোনো ব্যক্তিকে আঘাত করি না। তাই চুপ করে পড়া শোনো।
প্রিয় শিক্ষকের কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করেনি কোনো শিক্ষার্থী। ভয় এবং আতঙ্কে চুপ করে যায় সবাই। প্রোজেক্টর স্ক্রিনে ভেসে ওঠা লাইনগুলো তখন গোপনে মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করে একজন শিক্ষার্থী।
Advertisement
ক্লাস শেষ হতেই তুমুল হইচই পড়ে যায় স্কুলে। শিক্ষকের এমন আচরণে হতবাক স্কুল কর্তৃপক্ষ। গোটা ঘটনা ততক্ষণে জেনে গেছেন অভিভাবকেরাও। শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে সরব হন তারাও।
ঘটনাটি ঘটেছে কলোরাডোর ওথো ইন্টারন্যাশনাল স্টুয়ার্ট মিডল স্কুলে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ক্লাস চলাকালীন এমন মন্তব্য করেন শিক্ষক ক্রিস বুরঘার্ট। পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।
স্কুলের ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয় ওই মন্তব্য। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন স্কুল সুপারিনটেন্ডেন্ট ক্রিস ফিডলার। তদন্ত চলাকালীনই পদত্যাগ করেন ওই শিক্ষক।
স্কুল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, শিক্ষক ক্রিস বুরঘার্ট ছাত্রমহলে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। কেন তিনি এমন কথা বললেন তাতে অবাক গোটা স্কুলই। ফিডলার জানিয়েছেন, যতই জনপ্রিয় হোন না কেন, শিক্ষার্থীদের এমন করে ভয় দেখানো অপরাধ।
Advertisement
সে কারণে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাই নেয়া হবে। তার ভাষায়, আমার বিশ্বাস, কোনো পরিস্থিতিতেই একজন শিক্ষকের এমন মন্তব্য করা উচিত নয়। মজা করেও নয়।
একই মত, স্কুলের প্রিন্সিপল ফ্যাব্রিসিও ভেলেজেরও। তিনি জানান, এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি অভিভাবকদের জানাচ্ছি, ভয়ের কোনো কারণ নেই। ওই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।
কেএ/এমএস