ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেছেন, গণতন্ত্রের সূতিকাগার হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে চাই। আমরা ডাকসু নির্বাচন করব ইনশাল্লাহ।
Advertisement
মঙ্গলবার ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক অনুষ্ঠানে ভিসি এ আশ্বাস দেন। ‘গণমাধ্যম বনাম সামাজিক মাধ্যম’ শীর্ষক বার্ষিক সেমিনার ও সমিতির নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সদ্য বিদায়ী সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফররুখ মাহমুদ। শেষ পর্বে সভাপতিত্ব করেন নব-নির্বাচিত সভাপতি আসিফুর রহমান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবয়েত ফেরদাউস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার বোরহানুল হক সম্রাট, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য খায়রুজ্জামান কামাল প্রমুখ।
Advertisement
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সমিতির সাবেক নেতারাসহ বিভিন্ন ছাত্র-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘২৭ বছর ধরে সব প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার পেছনে কোনো সুনিদিষ্ট যুক্তি ছিল বলে মনে করি। বাস্তবতা হলো, আমরা ডাকসু নির্বাচন চাই এবং গত ২৭ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন হয়নি। আমরা আপনাদের আশা পূর্ণ করব। প্রত্যাশা করি, ডাকসু নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। আর এর অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। এটি গণতন্ত্রের সব কর্মকাণ্ড অনুসারণ করে পরিচালিত হয়।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘পরিবর্তনের জন্য ইনফরমেশনের কোনো বিকল্প নেই। আর এ পরিবর্তন হতে হবে জ্ঞান বৃদ্ধির পরিবর্তন।’
এমএইচ/এমআরএম/এমএস
Advertisement