বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির একটি বিষয়ের কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্টে নেয়া প্রশ্নপত্রেই বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ণরত শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের মধ্যে।
Advertisement
এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা। ঘটনা তদন্তে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শেখ আমজাদ হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের খণ্ডকালিন সহকারী শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেন স্কুল শেষে নিজ বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলে তাতে তৃতীয় শ্রেণির বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে পড়ান। প্রায় পনেরো দিন আগে ওই শিক্ষক তার কোচিং সেন্টারে পড়া শিক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচিত’ বিষয়ে মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেন। যেটার প্রশ্ন ৯ ডিসেম্বর তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি’ বিষয়ে দেওয়া বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।
বিষয়টি স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে বার্ষিক অনুষ্ঠিত হওয়ার অভিযোগ অবিভাবকদের কাছ থেকে পেয়েছি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি এই বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ের অস্থায়ী খণ্ডকালিন শিক্ষক।
Advertisement
শওকত আলী বাবু/এফএ/এমএস