খেলাধুলা

চার বছরে ৩৫ টেস্টসহ ১২২ ম্যাচ বাংলাদেশের

প্রস্তাবিত ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের ফিউচার টু্যর প্রোগ্রামে (এফটিপি) ৩৫টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সব ফরমেট মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১২২ ম্যাচে। তবে এই চার বছরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো টেস্ট নেই টাইগারদের।

Advertisement

তবে বাংলাদেশের জন্য সুখবরও আছে। নতুন এফটিপিতে বেশিরভাগ টেস্ট খেলুড়ে দেশ আগের থেকে কম টেস্ট পেলেও বাংলাদেশ বছরে দুটি করে টেস্ট বেশি পাচ্ছে। বর্তমান এফটিপিতে পাঁচ বছরে বাংলাদেশের টেস্ট ৩৩টি। প্রস্তাবিত নতুন এফটিপিতে চার বছরেই ৩৫টি টেস্ট খেলবে টাইগাররা।

বিশেষ করে বিগ থ্রি-ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের পরই এফটিপিতে সবচেয়ে বেশি টেস্ট রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে আছে পূর্ণাঙ্গ হোম এন্ড অ্যাওয়ে সিরিজও।

গত এক বছর ধরেই এই এফটিপি নিয়ে পরিকল্পনা করে যাচ্ছে টেস্টের পূর্ণ সদস্যরা। চলতি মাসে সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যরা মিলে নতুন এফটিপি বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এফটিপির নির্ধারিত চার বছর ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত।

Advertisement

আগামী ফেব্রুয়ারিতে আইসিসির নির্বাহী কমিটির সভায় এই প্রস্তাবনা চূড়ান্ত রূপ লাভ করার কথা। এরপর আগামী বছরের জুনে আইসিসির বার্ষিক সভায় সেটা উপস্থাপন করা হবে।

নতুন এফটিপিতে নেই কোনো ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। নেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো টেস্ট। টেস্ট লিগের নতুন নিয়মে প্রতিটি দলের দুই বছরের মধ্যে ছয়টি দলের বিপক্ষে খেলা বাধ্যতামূলক। তবে প্রতিটি প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই খেলতে হবে, এমন বাধ্যবোধকতা নেই।

খুব বেশি সিরিজ নেই ট্রান্স-তাসমান প্রতিবেশীদের মধ্যেও। চার বছরে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড পরস্পরের বিপক্ষে খেলবে কেবল একটি দুই টেস্টের সিরিজ।

ক্রিকেটপ্রেমীরা নিয়মিত দেখতে পাবেন না ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট দ্বৈরথও। চার বছরে এই দুই দলের মধ্যে রয়েছে মাত্র একটি টেস্ট সিরিজ।

Advertisement

নতুন এফটিপিতে সবচেয়ে বেশি ১৫৯টি ম্যাচ খেলবে ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৬টি। এরপরই রয়েছে ইংল্যান্ড, ১৩০টি ম্যাচ খেলবে ক্রিকেটের জনকরা।

এমএমআর/আইআই