জাতীয়

‘সেফ সিটি’ হচ্ছে ঢাকা : ইমিগ্রেশনের পরিবর্তে বসবে ই-গেইট

রাজধানী ঢাকাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ (সেফ সিটি) শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় সেবা ‘৯৯৯’উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শহরকে নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। তাই প্রথমে রাজধানীকে সেফ সিটি করা হবে। পর্যাক্রমে অন্যান্য শহরেও সেফ সিটি বাস্তবায়নে কাজ করা হবে।

তথ্য প্রযুক্তি খাতে দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী একের পর এক উন্নয়ন হচ্ছে। দেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত হচ্ছে। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে হবে ই-গেইট। ফলে বিমানের যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়াতে হবে না।

Advertisement

উল্লেখ্য, ই-গেইট বসানো হলে নাগরিকরা স্মার্টকার্ড ব্যবহার করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রতি এ ই-গেইট চালু হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘৯৯৯’সেবা চালুর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মানুষের যে কোনো মুহূর্তে জরুরি সেবা বা পুলিশের দরকার হতেই পারে। তাদের জন্যই এ সেবা। উন্নত দেশে এ ধরনের সেবা চালু আছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, আইসিটি বিভাগ এ সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছিল অনেক আগেই। সে সময় দেখা গেছে সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে ৬০ ভাগ মানুষ পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন, ৩১ ভাগ ফায়ার সার্ভিসের এবং ৪ ভাগ অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছেন। তাই প্রথমে এ তিনটিকে নিয়েই সার্ভিসটি চালু করা হয়েছে। সার্ভিসের আওতায় সাড়ে চার হাজার অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।

বর্তমানে এ কল সেন্টার একসঙ্গে ১২০টি কল ধরতে পারবে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা ৩০০তে উন্নীত করা হবে। এছাড়া এখন শুধুমাত্র মোবাইল ও ল্যান্ডফোন থেকে ফোন দিয়ে এ সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে। আগামীতে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেট থেকেও জরুরি সেবা পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের ডিএমপি’র ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এ সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় ভবিষ্যতের চিন্তা করে। যেখানে মানুষের কোনো কষ্ট নেই। '৯৯৯' সার্ভিস ভবিষ্যতের শুরু। ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম আরও চালু হবে।

এআর/এএইচ/এমএস